যশোরে করোনা উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৪১

0

বিএম আসাদ ॥ যশোরে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু অব্যাহত রয়েছে গতকাল হাসপাতাল আইসোলেশনে উপসর্গ নিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসক-সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ আরো ৪ জন। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছেন, হাসপাতালের করোনা পুরুষ আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ভোর ৫টায় মহাদেব (৭০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বৃস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে নিজ বাড়িতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে এ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৌনে ৩টার মধ্যে মৃত্যু হয় মহাদেবের। মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মহাদেবের বাড়ি যশোরের মণিরামপুর উপজেলার জামলা গ্রামে। এ নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনা সন্দেহে ৫১ জনের মৃত্যু হলো। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৪৭ জন।
এদিকে একদিনে যশোরে আরো ৪০ জন নতুন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। খুলনা মেডিকেল কলেজ হতে নমুনা পরীক্ষার ৮টি রিপোর্ট আসে। তাতে নতুন কেউ আক্রান্ত না হলেও যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হতে নমুনা পরীক্ষার ১শ ৯১টি রিপোর্টের ভেতর ৪০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের ৩০ জনই যশোর সদরের। আক্রান্ত অপর ১০ জনের মধ্যে কেশবপুরে ৩ জন, অভয়নগর, বাঘারপাড়া ও মণিরামপুরে ২ জন করে ৬ জন এবং চৌগাছায় ১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে যশোরে মোট ৩ হাজার ৪শ ৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্য হয়েছে ৪৭ জনের। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৮৫ জন, ২৪ জন হাসপাতালে রয়েছেন। হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১ হাজার ২শ ৬০ জন। আক্রান্তরা হলেন, যশোরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কৃষ্ণ চন্দ্রের স্ত্রী, ম্যাজিস্ট্রেট কোয়ার্টারের বাসিন্দা মণিকা (২২), যশোর মেডিকেল কলেজের এসআর ইনরিকা কস্তা (৪৪), ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের মিসেস রাবেয়া খাতুন (৫৭), এনান আন নুর (১৪), ঘোপ জেল রোডের তরিকুল ইসলাম (৭৭), কাজী আমান উল্লাহ (৬৮), গাড়িখানার প্রদীপ কুমার (৪৩), যশোর হিসাব রক্ষন অর্ফিসের কর্মকর্তা খায়রুল হাসান (৪২), আসাদুজ্জামান (৩৯), সোহেল রানা (২৫), শাহ আব্দুল করিম রোডের রাফী (১৮), কারবালার টিটো মৃধা (৪০), কলাবাগানের আঞ্জুমান (৫০), ঝুমঝুমপুরের রবিউল ইসলাম (৪২), আবিদা সুলতানা (৪০), চাঁচড়া ডালমিলের জোতি (১৭), চাঁচড়ার চম্পা (৪৮), শংকরপুরের আসাদুজ্জামান (১৪), আকমল হোসেন (৩৫), জেলা বীজ প্রত্যায়ন কর্মকর্তা মোসাবির হোসেন (৩০), নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার শরীফ হোসেন (৬৪), নীলগঞ্জের রাজ কুমার পাল (৫১), পূর্ব বারান্দীপাড়ার পান্না বেগম (৭৫), বেজপাড়ার নার্গিস আরা স্নিগ্ধা (৩১), উপশহরের সাজিদ উদ্দিন ফিরোজ (৫৩), রমিজ উদ্দিন ফিরোজ (৫৩), মাহমুদা (৪৪), ধর্মতলার জান্নাতুল (৪৫), সদর উপজেলার সতীঘাটার চন্দ্র শেখর (২৯), নাটুয়াপাড়ার মোমেনা খাতুন (২৯), ছাতিয়ানতলার লিমা অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জেসমিন নাহার (৪১), প্রেমবাগের নাহিদ (৩০), গুয়াখোলার শামছুল আলম (৩৫), কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হারুন-অর-রশিদ (৩৭), শিশির অধিকারী (৪০), অনুপ দত্ত (৩৮), শার্শা উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কর্মরত ফারুকুল ইসলাম (৩৫) ও বেড়িনারায়নপুরের মোসলেম আলী (৭৫)।