গল্পের মতো বাস্তবেও আত্মহত্যা করেছেন অভিনেত্রী

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়ে আলোচনায় আসেন লরেন মেন্ডেস। পরে নাম লেখান টিভি নাটকে। তার স্বপ্ন ছিল বিখ্যাত তারকা হওয়ার। কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেওয়ার আগেই চলে গেলেন পরপারে।
তার অভিনীত ওয়েব ফিল্মের গল্পের মতোই বাস্তবে অকাল মৃত্যু হয়েছে লরেনের! মৃত্যুর দুদিন আগে ‘ট্রল’ নামে ওয়েব ফিল্মের শুটিং করেন তিনি। সঞ্জয় সমদ্দার পরিচালিত এই ওয়েব ফিল্মের গল্পেও তার অকাল মৃত্যু হয়।
লরেনের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না পরিচালক সঞ্জয় সমদ্দার। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন—‘ট্রল’ ওয়েব ফিল্মে লরেন অপূর্ব ভাইয়ের বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। গল্পের মতো সাবাই তাকে ছোট বোন হিসেবেই দেখতো। ফুটফুটে একটা বাচ্চার মনে এত বড় অভিমান ছিল তা ইউনিটের কেউ-ই টের পায়নি। তার অভিমানের দাগ এমন গভীর হবে তা কখনো ভাবিনি! তার মৃত্যুর খবর পেয়ে মনে হলো আমার আপন বোনকে হারিয়েছি।
তিনি আরো বলেন—চরিত্রের প্রয়োজনে অপূর্ব ভাই লরেনের চুল আঁচড়ে দিয়েছেন, ভাত খাইয়ে দিয়েছেন, সবচেয়ে আদরের বোনটির জন্য জীবন বাজি রেখেছেন। সেই সব দৃশ্যের কথা শুটিং ইউনিটের কেউ-ই ভুলতে পারছি না।
অপূর্ব বলেন—লরেনের মৃত্যুর খবর শোনার পর আমি সারা দিন বাকরুদ্ধ ছিলাম। কী আর বলবো! যেখানেই থাকুক, বাচ্চাটা ভালো থাকুক। এটাই প্রার্থনা।
‘ট্রল’ ওয়েব ফিল্মের শুটিং গত ২৪-৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলে। এর কিছু অংশের শুটিং বাকি আছে। তবে লরেনের অংশের শুটিং শতভাগ শেষ হয়েছে। লাইভ টেকনোলজির ব্যানারে নির্মিত এই ওয়েব ফিল্মটি খুব শিগগির স্ট্রিমিং অ্যাপ সিনেম্যাটিক এবং লাইভ টেকনোলজির ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে।
গত ৩০ আগস্ট রাজধানীর কালাচাঁদপুরের বাসায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মঘাতী হন লরেন। জানা যায়, ভালোবাসার মানুষকে মেনে না নেওয়ায় বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেন লরেন।