বাগেরহাটে মিথ্যা মামলায় জামিনে মুক্তির পরও বাড়ি ফিরতে পারছে না ২০ পরিবার

0

বাগেরহাট সংবাদদাতা ॥ বাগেরেহাটে প্রতিপকে ফাঁসাতে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় জামিনে মুক্ত হলেও প্রতিপরে অত্যাচারে নিজ বাড়িতে ফিরতে পারছে না মুক্তিযোদ্ধাসহ ২০টি পরিবার। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও বাড়ি ফেরার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চাঞ্চল্যকর শিশু খালিদ ও রিফাত হত্যা মামলার আসামি মুক্তিযোদ্ধা বাদশা তালুকদার। মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসকাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা বাদশা তালুকদার নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘২০১৯ সালে প্রতিবেশী কাউছার তালুকদার ও তার ভাই মান্নান তালুকদার আমাদেরকে ফাঁসাতে এবং এলাকা থেকে উচ্ছেদ করতে তাদের দুই সন্তান খালিদ ও রিফাতকে হত্যা করে। পরবর্তীতে খালিদ হত্যা মামলায় কাউছার তালুকদার আমাদের পরিবারের ১৯ সদস্যের নামে মামলা দেয়। রিফাত হত্যা মামলায়ও আরও ১৬ জনের নামে মামলা দেয়। দুটি মামলায় আমরা আসামি হয়ে জেল খেটেছি। বর্তমানে বেশিরভাগ আসামি জামিনে বের হলেও বাদীদের অত্যাচারে বাড়িতে ফিরতে পারছি না। কিন্তু সত্য কখনও চাপা থাকে না। রিফাত হত্যা মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বাগেরহাট কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে সংস্থাটির খুলনা বিভাগীয় প্রধান বিশেষ পুলিশ সুপার আতিকুর রহমান মিয়া জানান জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকায় একই বংশের প্রতিপকে ফাঁসাতে রিফাতুল তালুকদারকে হত্যা করে রিফাতের চাচাতো ভাই ইকবাল তালুকদার ও সাকিব তালুকদার। এ মামলায় মান্নান তালুকদারের ভাইয়ের ছেলে ইকবাল, সাকিব ও আত্মীয় হাফিজুর রহমান ছোট আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। এটা দিনের মত স্পষ্ট যে আমাদেরকে ফাঁসাতে রিফাতকে হত্যা করেছে তার পরিবারের লোকেরা। তারপর রিফাত হত্যা মামলার আসামিদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিচ্ছে না পুলিশ।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদেরকে ফাঁসাতে খালিদকেও একইভাবে হত্যা করেছে তার পরিবার। দুটি হত্যা মামলায় আমরা সকলে জামিনে আছি। কিন্তু কাউছার তালুকদার ও তার ভাই মান্নান তালুকদারসহ তাদের ক্যাডাররা আমাদেরকে এলাকায় যেতে দেয় না। বরং আমাদের বাড়িঘর, ঘের, পুকুর লুট করেছে। এখনও আমাদের মৎস্য ঘের তারা দখল করে আছে। আমরা বাড়িতে ফিরতে চাই। নিজের ভিটায় থাকতে চাই পরিবার পরিজনকে নিয়ে।’ সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা বাদশা তালুকদারের স্ত্রী হত্যা মামলার আসামি মেরিনা বেগম, কালাম তালুকদার, মমতাজ বেগম, সৈয়াদুর রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।