বোরো সংগ্রহ : নতুন বস্তার বদলে পুরাতন ও ব্যবহৃত বস্তায় নিম্নমানের চাল, তবুও অর্জিত হলো না টার্গেট

0

সুন্দর সাহা॥ চলতি মৌসুমে বোরো ধান-চাল সংগ্রহের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ল্যমাত্রার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ সংগ্রহ করেছে খাদ্য অধিদপ্তর। সাড়ে ১৯ লাখ টন টার্গেটের স্থলে সংগ্রহ হয়েছে মাত্র সোয়া ৭ লাখ মেট্রিক টন। যার মধ্যে বেশির ভাগই পুরাতন চাল। কোথাও পুরাতন বস্তায় আবার কোথাও ব্যবহৃত ব্যবস্থায় পুরাতন চাল ভর্তি করে সংগ্রহ দেখানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলেও তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়ার খবর মেলেনি। খাদ্য বিভাগের অধিকাংশ কর্মকর্তা এবারের বোরা মৌসুমে দ্বিমূখী লুটপাঠ করেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের লাগামহীন এই লুটপাটের সাথে বাজারে ধান-চেেলর উচ্চ মূল্য ভেস্তে দিয়েছে এবারের বোরো সংগ্রহ অভিযান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কর্তৃপক্ষের গাফিলতি, অনিয়ম-দুর্নীতি আর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এবারের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। এবার বোরো ধান ও চাল ল্যমাত্রার তিন ভাগের এক ভাগও সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য অধিদপ্তর। সূত্র জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে সরকার সাড়ে ১৯ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহের ল্যমাত্রা নির্ধারিত হয়। এরমধ্যে ১০ লাখ মেট্রিক টন বোরো সিদ্ধ চাল, দেড় লাখ মেট্রিক টন বোরো আতপ চাল এবং ৮ লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান সংগ্রহের টার্গেট করে। প্রতিকেজি ৩৬ টাকা দরে বোরো সিদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা দরে বোরো আতপ চাল আর ২৬ টাকা দরে বোরো ধান কেনার দাম নির্ধারণ করা হয়। মিলারদের (চালকল মালিক) সঙ্গে সরকারের চুক্তি অনুযায়ী ৭ মে থেকে শুরু হয়েছে বোরো চাল সংগ্রহ অভিযান। আর গত ২৬ এপ্রিল থেকে বোরো ধান কেনা শুরু হয়। খাদ্য সূত্র জানায়, ২৫ আগস্ট পর্যন্ত খাদ্য অধিদপ্তর ১০ লাখ টন বোরো সিদ্ধ চালের বিপরীতে সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৫ লাখ ২৬ হাজার ২৭৯ মেট্রিক টন। আর দেড় লাখ মেট্রিক টন বোরো আতপ চালের বিপরীতে সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৭৫ হাজার ১৪৩ মেট্রিক টন। ভয়াবহ অবস্থা ধান সংগ্রহে। ৮ লাখ টন বোরো ধানের বিপরীতে সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ১ লাখ ২৯ হাজার ৭৭৫ মেট্রিক টন। বোরো ধান ও চাল মিলে সাড়ে ১৯ লাখ মেট্রিক টনের বিপরীতে চাল ও ধান সংগ্রহের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মাত্র ৭ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ মেট্রিক টন। এবারের বোরো সংগ্রহের শেষ দিন ছিল ৩১ আগষ্ট। মিলাররা টার্গেট পূরণে আরও একমাস সময় চেয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই মৌসুমে বোরো ধান-চালের টার্গেট অর্জিত না হওয়ার প্রধান কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারী আর সংগ্রহের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতি। বিশেষ করে মহামারী করোনা ভাইরাস, ঘূর্ণিঝড় আম্পান, লাগাতার বৃষ্টি-বন্যা। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবার বোরো ধান ও চাল সংগ্রহে বড় ধরনের বাধার সৃষ্টি করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এবার সারা দেশে ধানের ব্যাপক তি হয়েছে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ কর্মকর্তারা। অধিকতর বৃষ্টির কারণে অনেক মিল মালিক ধান থেকে চাল সংগ্রহ করতে পারেননি। আবার প্রকৃতিক দুর্যোগ ও করোনাভাইরানের মহামারীর কারণে হাট-বাজার বন্ধের কারনে ধান-চালের স্বল্পতাসহ বাজারদর ছিল সংগ্রহ মূল্যের চেয়ে বেশি। এসব কারণেই ল্যমাত্রা অনুযায়ী কাঙ্খিত হারে ধান-চাল সরবরাহ করতে পারেননি মিল মালিকেরা। যার কারণে সংগ্রহ অনেক কম হয়েছে। তবে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পকেট ভরেছেন সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ কর্মকর্তা ও বস্তা সরবরাহকারী এক শ্রেণীর মিলাররা। তারা ব্যবহৃত ও বছরের পুরাতন বস্তা গ্রহন এবং ব্যবহারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন গুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) থেকে শীর্ষ কর্মকর্তা এবং বস্তা সরবরাহকারী মিলাররা। সে সব অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় পরও এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার খবর মেলেনি। সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন খাদ্য গুদামে নতুন বস্তার পরিবর্তে ব্যবহৃত এবং ৬/৭ বছরের পুরাতন বস্তা গ্রহণ ও ব্যবহার করা হয়েছে। বিজিএমসির সরবরাহকৃত বস্তা সঠিক থাকলেও আয়ান জুট মিলসহ বিভিন্ন মিলের সরবরাহকৃত অধিকাংশ ৫০ কেজির বস্তা ব্যবহৃত এবং ৩০ কেজির বস্তা ২০১৩/২০১৪ সালের অর্থাৎ ৬/৭ বছরের পুরাতন। অথচ সরকারি চুক্তিনামা মোতাবেক সব বস্তা নতুন দেয়ার নিদের্শনা ছিল। ৫০ কেজির একটি বস্তা খাদ্য বিভাগে ৭৯ টাকা জমা দিয়ে মিলারকে নিতে হয়। একইভাবে ৩০ কেজির একটি বস্তা ৫০ টাকা জমা দিয়ে খাদ্য বিভাগ থেকে গ্রহন করতে হয়। বস্তা বাবদ জমা দেয়া টাকা চাল সরবরাহের পর মিলাররা ফেরত পান। এবার এই বস্তা নিয়ে চলেছে ব্যাপক লুটপাঠ। বিভাগীয় আঞ্চলিক কর্মকর্তা (আরসি ফুড), জেলা খাদ্য কর্মকর্তা (ডিসি ফুড), উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা (ইউসিএফ) ও খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) ও বস্তা সরবরাহকারী মিলাররা মিলে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। এবারের বোরো সংগ্রহে শুধু বস্তা কেলেংকারীই নয়, এর সাথে পুরাতন এবং ব্যবহৃত বস্তা ভর্তি করা হয়েছে পুরাতন নি¤œমানের চালে। সংশ্লিষ্ট খাদ্য কর্মকর্তারা চাল সরবরাহকারী মিলারদের সাথে রফা করে এই অপকর্ম করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। সরকারি হিসেবে উল্লেখিত সময়ে ৫ লাখ ৩১ হাজার ৪৫২ মেট্রিক টন চাল সরবরাহের কথা বলা হলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। সংগৃহীত চালের বড় অংশই বস্তা বদল করা পুরাতন চাল। এসব বিষয় খাদ্য মন্ত্রনালযের সচিব ও খাদ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে (মহাপরিচালক) জানানো হলে এই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে লোকসমাজের এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন। সে মোতাবেক খাদ্য মন্ত্রনালয়ের বিভিন্ন টিম গঠন করে বিষয়টির তদন্ত করা হয়। একই ভাবে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), অতিরিক্ত মহাপরিচালকসহ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা খুলনা বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন গুদামে তদন্ত করেন। তবে এ বিষয়ে কারও বিরুদ্ধে তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়ার খবর মেলেনি।
এ বিষয়ে খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহবুবুর রহমান খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি লোকসমাজকে বলেন, “খাদ্য অধিদপ্তরের ডিজি আমাকে বিষয়টির তদন্ত করার নির্দেশ দেয়ার পর আমি নিজে বিষয়টি দেখেছি। এ সময় কয়েকটি গুদামে নি¤œমানের ও অব্যবহৃত কিছু বস্তা দেখতে পায়। যার প্রেক্ষিতে খুলনা ডিসি ফুডের নেতৃত্বে একটি কমিটি করি। সেই কমিটি যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সেটায় আমি খাদ্য অধিদপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছি।” খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এসব অপকর্মে জড়িতদের ছাড় দেয়ার জন্য খাদ্য অধিদপ্তরের ২৩/০৯/২০০৮ তারিখের সপ/ছালা-১৫/২০০৬-০৭/২০৫৪(৬) নং স্বারকের নির্দেশনা মেনে বস্তা গ্রহণের সরকারি আদেশ লংঘনকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এছাড়া সংগ্রহ বিভাগের ১০/১১/২০১৯ তারিখের ১৮৯৪ নং স্বারকে বস্তা গ্রহনের নির্দেশ এবং সর্বশেষ ১০/০৭/২০২০ তারিখের ২০১ নং স্মারকে বস্তার গুণগত মান যাচাইয়ের আদেশ লংঘন করে সরকারি সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে বস্তা সরবরাহকারীর মিলারের বিলের ৫ শতাংশ কেটে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।” এ ব্যাপারে খাদ্য মন্ত্রনালয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা উপসচিব ড. নূরুল আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি লোকসমাজকে বলেন,“বিষয়টি আমি তদন্ত করেছি। খুলনা বিভাগের বিভিন্ন গুদামে তদন্তকালে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। পুরাতন ও ব্যবহৃত বস্তার আলামতও নিয়েছি। নতুন সংগ্রহ করা চালের মধ্যে পুরাতন চাল ভর্তি বস্তা পেয়েছি। আমি যেটা পেয়েছি সেটা আমার প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরে প্রতিবেদন দিয়েছি। এ ব্যাপারে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) সারোয়ার মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি লোকসমাজকে বলেন,“আমি ঘটনা শুনেছি, সাথে সাথেই আমি বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।” এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “দুষ্টু মানুষেরা সব সময় সংগঠিত হয় আর ভাল মানুষেরা অসংগঠিত হয়। তারপরও এটুকু বলতে পারি কোন অপরাধী পার পাবে না। যারাই এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।” এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব ড. মোছাম্মাৎ নাজমানারা খানুমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি লোকসমাজকে বলেন,“আমরা ৯ কোটি বস্তা নিয়েছি। এ ঘটনা সারাদেশেই বলতে পারেন। ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।” অন্যএক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এসব ঘটনার নায়ক ও মহানায়ক হচ্ছেন আরসি ফুড ও ডিসি ফুডরা। এসব অপরাধের সাথে যারাই জড়িত থাক কেউ পার পাবে না।”
এদিকে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাল সরবরাহ করতে না পারার কারন প্রসঙ্গে চালকল মালিকরা বলছেন, করোনা এবং ঘূর্ণিঝড় আম্পান তাদের সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে। দীর্ঘদিন হাট-বাজার বন্ধ থাকায় তারা কোথাও যেতে পারেননি। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশ লকডাউনে ছিল। অপরদিকে এ সময় আম্পান বয়ে গেছে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে। এরপর লাগাতার বৃষ্টি ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ দেশ। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবার ধান-চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাজার দরের চেয়ে সরকারি ক্রয়মূল্য কম হওয়ায় চাল সরবরাহ সম্ভব হয়নি। সে কারনে মিলাররা সামনে আরও এক মাস সময় চেয়েছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, যেসব মিল মালিক বোরো সংগ্রহে সরকারকে সহযোগিতা করেনি, সেসব মিলারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এরইমধ্যে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের কাছে লিখিত চিঠি পাঠিয়েছে খাদ্য অধিদফতর। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশে ধান-চাল সংগ্রহে কিছুটা প্রতিকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। তারপরেও এই পরিবেশের মধ্যে যেসব চালকল মালিক আদিষ্ট হয়েও চুক্তি করেননি, তাদের লাইসেন্স স্থগিতের বিষয়ে চিন্তাা করা হচ্ছে। চিঠিতে আরও বলা হয়, যেসব চালকল মালিক চুক্তি অনুযায়ী সিদ্ধ ও আতপ চাল সংগ্রহে ব্যর্থ হয়েছেন এবং সরকারি সংগ্রহের ল্য অর্জনে অসহযোগিতা করছেন তাদের বিরুদ্ধে চুক্তিপত্র ও চালকলের লাইসেন্স ইস্যু সংক্রান্ত বিধিবিধানসহ প্রাসঙ্গিক আইন বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে খাদ্য অধিদফতরের ডিজি সারওয়ার মাহমুদ জানান, যদিও এবারের পরিবেশটাই বৈরী। ল্যমাত্রার অর্ধেকও সংগ্রহ করা যায়নি। এটি দুঃখজনক। সংগ্রহের সময় বাড়ানো প্রসঙ্গে তিনি জানান, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এখনও সুযোগ রয়েছে, তাই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হতেও পারে। এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাজমানারা খানুম বলেন, “বোরো ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। করোনার কারণে সারা দেশ তো লকডাউনে ছিল। এটি বাস্তবতা। কাজেই মিল মালিকদের সময় বাড়ানোর আবেদনটি বিবেচনা করার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলে ধান ও চাল সংগ্রহের সময় কিছুটা বাড়ানো হতে পারে।’