যশোরে দুদিনে করোনায় দুজনের মৃত্যু : আক্রান্ত আরো ৯২ জন

0

বিএম আসাদ ॥ মহামারী করোনা ভাইরাসে যশোরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে না। গত দুদিনে যশোরে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনসহ আক্রান্ত হয়েছে ৯২ জন। মৃত ব্যক্তিরা হলেন, যশোর মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা: মো: আক্তারুজ্জামানের মাতা আনোয়ারা বেগম (৯২) ও শার্শার বাগআঁচড়া উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্য উপসহকরী কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান (৫৮)। তারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
্আনোয়ারা বেগম যশোর ইবনেসিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে মারা যান। গত বৃহস্পতিবার তার নমুনা নেয়া হয়েছিল। শনিবার আসা নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে তার শরীরে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) ধরা পড়ে। তখন শহরের ডিসি বাংলো রোডস্থ বাসা থেকে তাকে চিকিৎসার জন্য ইবনেসিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শার্শা উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মো. ইউসুফ আলী জানিয়েছেন, বাগআঁচড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্য উপসহকারী কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান (৫৮) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। খুলনা গাজী মেডিকেলে চিকিৎসধীন অবস্থায় গত রোববার গভীর রাতে তিনি বাগআঁচড়া গ্রামে মৃত্যুবরণ করেন। গত ১৮ আগস্ট তিনি নমুনা পরীক্ষা দেন। ২০ আগস্ট তার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। সিভিল সার্জন অফিসের এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, গত ৩০ আগস্ট যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১শ ১৩টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। তাতে ৩৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। খুলনা মেডিকেল কলেজ হতে নমুনা পরিক্ষার রিপোর্ট আসে ৯টি। তাতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ জন। ৩৮জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ আগস্টে। গতকাল ৩১ আগস্ট করোনায় ৫৪জন আক্রান্ত হয়েছেন। খুলনা মেডিকেল কলেজ হতে আসা ৯টি নমুনার কেউ আক্রান্ত না হলেও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হতে আসা ২শটি নমুনা পরিক্ষার রিপোর্টে ৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে গত দু’দিনে ৩শ ৩১টি নমুনা পরীক্ষায় মোট ৯২জন আক্রান্ত হয়েছেন যশোরে। আক্রান্তের মধ্যে সর্বাধিক যশোর সদরে। এ উপজেলায় করোনা দুদিনে ৭৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া ঝিকরগাছায় ১০ জন, কেশবপুর ও অভয়নগরে ১ জন করে ২ জন ও শার্শায় ৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২শ ৫৯ জন। সুস্থ হয়েছেন, ১ হাজার ৯শ ৩৪ জন। হাসপাতালে ভর্তি, রয়েছেন, ৩০ জন। আইসোলেশনে ভর্তি ১ হাজার ২শ ৫৭ জন। সদরে আক্রান্তদের মধ্যে আছেন, ঘোপ, পিলুখান সড়কের বাসিন্দা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন (৬৮), ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের ইউনুছ আলী (৫২), ইমতিয়াজ (২৮), রেলরোডের ডাঃ আকিব (২৬), ঘোষপাড়ার আদাব (৩০), পুলিশ কোয়ার্টারের কাকলী (৪০), পালবাড়ীর হাফিজুর (৫৭), খয়েরতলার মিজানুর রহমান (৩৩), এসপি বাংলো এলাকার অবনি চন্দ্র বসু (৪৯), কারকালার পলাশ (৩১), খড়কি শাহ আব্দুল কবির রোড়ের জিল্লুর রহমান (৩৯), বিমান বন্দর সড়কের পরিতোষ (৩৩) মীরপাড়ার রহিম (৩৫), স্মিথ রোডের অরুনাভ (১৭), সার্কিট হাউজপাড়ার অহিদুল ইসলাম (৪১), মাইকপট্টির রবিউল (২৪), খড়কির গুলশানারা ইয়াসমিন (২৮), শংকরপুরের ডা. সরোয়ার (২০), জিএম তৌহিদুর রহমান (২৯), পিয়ারিমোহন রোডের সাবিত এলাহী (২৮), তালতলার সাজ্জাদ (৩০), ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ক্যাশিয়ার উপশহর বি-ব্লকের শেখ ইবরাহিম (৫২), ধর্মতলার আসাদুজ্জামান (৬৪), ভেকুটিয়ার লিলি (৪০), আমবটতলার আব্দুল খালেক (৬০), বাগডাঙ্গার কামরুজ্জামান (৫৮), বসুন্দিয়ার শেখ আরিফুল (৫৫) খাজুরার সবুরন বেগম (৪৮), আইনজীবী হামিদপুরের মঞ্জুরুল (৫৩), ঝুমঝুমপুরের এনামুল হক (৪০), ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। এব্যাপারে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীনের সাথে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ করলে তিনি বলেন, অবস্থান তে,ন কোন উন্নতি বুঝা যাচ্ছে না। তবে বৃদ্ধির সংখ্যাও যে অতিরিক্ত বেশি তা না।