এমপির ফুফাতো ভাইকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা

0

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা॥ কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি অ্যাডভোকেট আ কা ম সারওয়ার জাহান বাদশার ফুফাতো ভাই হাসিনুর রহমানকে (৫৫) প্রকাশ্য দিবালোকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামে হাসিনুরের নিজ বাড়ির সামনে হত্যার এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আবদুল জব্বার নামে একজন আহত হন। পুলিশ হামলাকারী মজিবর রহমান বয়াতিকে আটক করেছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, একটি খুনের ঘটনা মীমাংসার চেষ্টা করছিলেন হাসিনুর। এর জের ধরে তাকে খুন করা হতে পারে বলে সূত্রগুলো জানায়। নিহতের স্বজনরা জানান, হাসিনুর রহমান রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। এমপির অবর্তমানে তার ব্যক্তিগত ও দলীয় কাজকর্ম হাসিনুর দেখভাল করতেন।
গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আবদুল জব্বারের মোটরসাইকেলে চড়ে নিজ বাড়ি থেকে বাজারের দিকে যাচ্ছিলের হাসিনুর। এ সময় বাড়ির পাশেই একটি দোকানের কাছে ওতপেতে থাকা একই গ্রামের মজিবর রহমান বয়াতি তার ওপর অতর্কিত হামলা করেন। মজিবর রামদা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকলে এক পর্যায়ে হাসিনুর মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু নিশ্চিত করে মজিবর পালিয়ে যান। হামলাকারীর আঘাতে মোটরসাইকেলের চালক আবদুল জব্বার আহত হন। এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা তার বাড়িতে ভিড় করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ২০১৯ সালে কোরবানির ঈদের সন্ধ্যায় ফিলিপনগর গ্রামের মজিবর রহমান বয়াতির ছেলে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হন। এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলা চলমান। মামলার আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক। সম্প্রতি এলাকায় এমপির প্রতিনিধিত্বকারী হাসিনুর আসামিদের পক্ষ নিয়ে মামলাটি আপস নিষ্পত্তি করে নেওয়ার জন্য বাদী মজিবরের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মজিবর পরিকল্পিতভাবে হাসিনুরকে খুন করেন। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভির আরাফাত জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘হামলাকারী মজিবর রহমান বয়াতির ছেলে গত বছর খুন হন। শুনেছি এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে তিনি এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছেন।’ পুলিশ সুপার বলেন, ইতিমধ্যে হামলাকারী আটক হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হাসিনুর ফিলিপনগর গ্রামের ডা. জমির উদ্দিনের ছেলে।