মধুমতি নদীতে পড়ে শিশুপুত্র সহ নিখোঁজ হয়েছেন পুলিশ সদস্য

0

শিমুল হাসান, লোহাগড়া(নড়াইল)॥ নড়াইলের লোহাগড়ার কালনা ঘাট এলাকায় মধুমতি নদীতে ভ্রমণ শেষে ফেরবার পথে নৌকা থেকে নদীতে পড়ে গিয়ে শিশুপুত্র সহ নিখোঁজ হয়েছেন এক পুলিশ সদস্য। সূত্র জানায়, শুক্রবার(২৮ আগষ্ট) বিকাল ৫ টার দিকে লোহাগড়ার চাচই গ্রামের আজাদ মোল্যার ছেলে পুলিশ কনস্টবল আবু মুসা মোল্যা(২৮) তার স্ত্রী ও ছয়মাস বয়সী শিশুপুত্র সহ ৬ জনে মিলে নৌকা ভ্রমণে মধুমতি নদীতে যান। সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বাড়ি ফেরবার জন্যে রওনা হলে কালনা ঘাটের কাছে এসে ট্রলারের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ট্রলারটি চালকের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়। প্রচন্ড ¯্রােত থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়েন চালক। এক পর্যায়ে দ্রুত গিয়ে ট্রলারটি নির্মাণাধীন মধুমতি সেতুর নদীর মাঝের শিটপাইলের সাথে আঘাত লাগে। পুলিশ কনস্টবল আবু মুসা শিশু পুত্রকে নিয়ে নৌকার উপর দাঁড়িয়ে ছিলেন। সজোরে ঢাক্কা লাগায় আবু মুসা শিশু পুত্রকে নিয়ে নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা শিটপাইল পাশর্^বর্তী পল্টুনের তলে ¯্রােতের টানে আবু মুসা শিশু পুত্র সহ চলে গেছে। নিখোঁজ আবু মুসার বেয়াই শওকত জানান, মুসা ঢাকা হেডকোয়াটারে কর্মরত ছিলেন। ছুটিতে বাড়ি এসে মধুমতি নদীতে আত্মীয় স্বজন নিয়ে ভ্রমণে গিয়েছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কালনাঘাটের ড্রেজারের মালিক পাপ্পু জানান, আমি ওই পুলিশ সদস্যকে আত্মীয় স্বজন নিয়ে ঘুরতে দেখেছি। কিন্তু ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে অঘটন ঘটে গেলো। তিনি জানান, নৌকায় ৪জন মহিলা, ১জন শিশু, পুলিশ কনস্টবল মুসাসহ ৬ জন ছিলেন। ৪ জন নৌকার উপরে থাকলেও মুসা তার শিশু সন্তান সহ নদীতে পড়ে যায়। এলাকার লোকজন জানায়, লোহাগড়া থানার ফায়ার সার্ভিস দল কালনাঘাটে গিয়ে দেখে, শুনে ফিরে আসে। উদ্ধার তৎপরতা চালানোর মতো প্রয়োজনীয় জিনিস নেই বলে তারা অসহায়ত্ব প্রকাশ করে ফিরে যায়। লোহাগড়া থানার এসআই মাহফুজ জানান, কুষ্টিয়া থেকে ডুবুরি দল রওনা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লোহাগড়া থানার সহকারী কমিশনার(ভূমি) রাখী ব্যানার্জী জানান, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা শুরু হবে।