চুয়াডাঙ্গার বোয়ালিয়া গ্রামে ডেকোরেটরের রাধুনী দু’বোনকে ডেকে এনে গণধর্ষণের অভিযোগ

0

রিফাত রহমান,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি॥ চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে রান্নার কথা বলে ডেকোরেটরের দু’ রাধুনী বোনকে মুঠোফোনে ডেকে এনে রাতভর গণধর্ষণ করার হয়েছে বলে ৫ ব্যক্তির বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা হয়েছে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১ জনকে আটক করেছে।
সোমবার (২৪ আগস্ট) রাতে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গণধর্ষণের শিকার আলমডাঙ্গাা উপজেলার বড়গাংনী গ্রাম ও দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামে বসবাসরত দু’বোন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবির জানান,বুধবার দুপুরে হাসপাতালের সিনিয়র গাইনী কনসালটেন্ট ডা. আকলিমা খাতুন ধর্ষণের শিকার দু’বোনের ডাক্তারী পরীক্ষা শেষ করেছে। পরীক্ষা- নিরীক্ষা শেষে ধর্ষণের প্রতিবেদন দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহব্বুর রহমান কাজল জানান, নির্যাতিত দুজনই আপন বোন। তারা একটি ডেকোরেটরে রাধুনীর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত সোমবার বিকালে চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের রইচ উদ্দিন পুটে বিশ্বাসের ছেলে সুমন (২৬) একটি অনুষ্ঠানে রান্নার জন্য ওই দু’বোনকে মুঠোফোনে ডেকে নেয়। এরপর তাদেরকে একই গ্রামের আলতাব মন্ডলের ছেলে মিলনের (৩৫) বাড়িতে রেখে, মরহুম ইছার উদ্দিনের ছেলে সাগর (৪০), নেহালপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৫) ও অজ্ঞাত এক ব্যক্তি মিলে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর নির্যাতিত দু’বোন মঙ্গলবার রাতে পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর: ৪৭ তারিখ: ২৫.০৮.২০২০। ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে মিলনকে আটক করা হয় বলে তিনি জানান। আটক মিলনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।