শোকসভায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আবদুস শহিদ ছিলেন সৎ, সাহসী ও নির্ভীক সাংবাদিক

0

=লোকসমাজ ডেস্ক॥সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আবদুস শহিদ ছিলেন সৎ, সাহসী ও নির্ভীক সাংবাদিক।তার অকাল মৃত্যু সাংবাদিক সমাজের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। জাতির এই ক্রান্তিকালে তার মতো সৎ, সাহসী ও নির্ভীক সাংবাদিক নেতার খুব প্রয়োজন ছিল। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত এক শোক সভা ও দোয়া মাহফিলে সাংবাদিক নেতারা এসব বলেন।
ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় জাতীয় প্রেস ক্লাব ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী, জাতীয় প্রেসক্লাব ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, দৈনিক দিনকাল সম্পাদক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসাইন, বিএফইউজের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রোকন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস খান, সিনিয়র সাংবাদিক মুজতবা খন্দকার, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এ কে এম মহসীন, ডিইউজের সহ-সভাপতি শাহীন হাসনাত, সাবেক সহ-সভাপতি খুরশীদ আলম, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের জি এ এম আশেক উল্লাহ, কুমিল্লাহ সাংবাদিক ইউনিয়নের শহীদুল্লাহ মিয়াজী।
সভায় বক্তারা বলেন, আবদুস শহিদ সাংবাদিক হিসেবে বরাবরই পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। সাংবাদিকতাকে ব্যবহার করে তিনি ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হতে চাননি। নীতির প্রশ্নে তিনি কখনো আপস করেননি। আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। ফোরামের নেতা হিসেবে তিনি ছিলেন অত্যন্ত বিচক্ষণ।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, আবদুস শহিদ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় অকপটে সত্য বলতে পারতেন। মেরুদণ্ড সোজা করে হাটার মতো সাংবাদিক কমই আছেন, আব্দুস শহিদ ছিলেন তেমন এক ব্যক্তি। তিনি গণতন্ত্রের জন্য, মুক্তমতের জন্য, কথা বলার স্বাধীনতার জন্য, সাংবাদিকদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। আমরা তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
এসময় নেতৃবৃন্দ আবদুস শহিদের সঙ্গে পথ চলার বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাল্পুত হয়ে পড়েন।
রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বলেন, আবদুস শহিদ এতো অল্প সময়ে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে তা ভাবিনি। তার অকাল মৃত্যু খুবই কষ্টদায়ক। তার জন্য সাংবাদিক সমাজে এক শূন্যতা বিরাজ করছে। সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে শহিদ ছিল আপসহীন। শহিদ তার জীবন চলায় কথা বলতো খুবই কম। আর যখন কথা বলতো তখন ন্যায় ও সততার সঙ্গে সে বজ্রকন্ঠে কথা বলতো। আমি তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং আল্লাহ তাকে বেহেসত নসিব করুক এই প্রার্থনা করছি।
রুহুল আমীন গাজী বলেন, আবদুস শহিদের জন্য এভাবে স্মরণসভা করতে হবে তা কখনো ভাবিনি। আমরা কেউ বেঁচে থাকতে থাকতে পারব না। একদিন সবাইকে চলে যেতে হবে। তবে, আবদুস শহিদের অকাল মৃত্যু মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করেন এজন্য প্রার্থনা করছি।
এম আবদুল্লাহ বলেন, আবদুস শহিদের অকাল মৃত্যু আমাদের জন্য খুবই কষ্টদায়ক। তার মৃত্যু আমাদের জন্য এ অপূরণীয় ক্ষতি। সাংবাদিক সমাজ তার অবদানের কথা কোনো দিন ভুলবে না। আমরা তার তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতবাসী করে এজন্য দোয়া করছি।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, আবদুস শহিদ গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতার জন্য সব সময় সংগ্রাম করে গেছেন। তার অকাল মৃত্যুতে আমরা ব্যথিত হয়েছি। আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করছি, আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন।
শোকসভা শেষে মরহুমের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুস শহিদের পাশে থাকার জন্য সভা থেকে নেতৃবৃন্দ এনটিভি পরিবারকে ধন্যবাদ জানান এবং তার একমাত্র ছেলে ও তার পরিবারের পাশে থাকার জন্য আহবান জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি