মৃত্যুর ১৫ বছর পরও গ্রেফতারি পরোয়ানা !

0

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা ॥ মারা গিয়েও রেহাই মেলেনি আফসার আলী বিশ^াসের। মৃত্যুর ১৫ বছর পর গত ৭ জুলাইয়ের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়া জারি হয়েছে তার বিরুদ্ধে। ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত কালীগঞ্জে মালাটি করেন এক নারী
মামলার বিবরণে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ বছরের জুলাই মাসের ৭ তারিখে ঝিনাইদহ আদালতে মামলা করেন কালীগঞ্জ উপজেলার বাদুরগাছা গ্রামের আনোয়ারা বেগম নামের এক নারী। এই মামলায় ৬ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন, বাদুরগাছা গ্রামের আক্কাজ বিশ^াসের ছেলে ঠান্ডু মিয়া, মাসুম, সানদিজার বিশ^াসের ছেলে লিটন মিয়া, আফসার আলীর ছেলে জিল্লুর রহমান, হায়দার আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম এবং মৃত রজব আলীর ছেলে মৃত আফসার আলী বিশ^াস। ঝিনাইদহের আমলী আদালত কালীগঞ্জ সকল আসামিকে সমন জারি করেন। ধার্য তারিখে আসামিরা উপস্থিত না হওয়ায় সকল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
সেই ঘটনায় মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে গত ২০ আগস্ট গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। রবিবার দুপুরে ওই মামলার আসামিরা ঝিনাইদহ আদালতে স্বশরীরে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানিতে ৫ জন আসামি হাজির হলেও একজন আসামি উপস্থিত ছিলেন না। জনাকীর্ণ আদালতে আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান অনুপস্থিত আসামিকে তলব করেন। এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবী ঝিনাইদহ আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহ মিন্টু আদালতকে জানান গত ১৫ বছর আগে এই মামলার ৫ নং আসামি আফসার আলী বিশ^াস মারা গেছেন।
শুনানিতে ঘটনার বিবরণ শুনে আদালতে উপস্থিত মামলার বাদী আনোয়ারা বেগমকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান জিজ্ঞাসা করলে বাদীপক্ষের আইনজীবী জানান, ভুলবশত আফসার আলীর নাম লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে মামলার বাদী আনোয়ারা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি লেখাপড়া জানি না। কি লিখেছে আমি সেটা বুঝিনি।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া মিলন জানান, বাদীপক্ষ যে মামলা দিয়েছে এটি আইনগত ভুল। আদালত এ বিষয়ে মৃত ব্যক্তির ব্যাপারে অবহিত না হওয়ায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আদালত দুইভাবে অবহিত হতে পারে। একটি হচ্ছে আসামি পক্ষের মাধ্যমে অন্যটি থানার মাধ্যমে। যদি থানা তদন্ত করে আসামিকে মৃত পায় তাহলে এ মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার সুযোগ পাবে।