করোনা সংক্রমণে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে যশোর : একদিনে আক্রান্ত আরও ৮০ জন

0

বিএম আসাদ ॥ করোনা সংক্রমণে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে যশোর। গত ২৪ ঘন্টায় ভারত ফেরত তাবলীগের মুসল্লিসহ এ জেলায় ৮০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ৪৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে যশোরে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৮শ’ ৪২ জনে দাঁড়িয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬শ’ ৭৫ জন। ১ হাজার ১শ’ ৬৭ জন করোনা রোগী এখনো অসুস্থ হয়ে হাসপাতাল ও হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানিয়েছেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা করা ২শ’ ১৬টি নমুনায় কোভিড-১৯ সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ জন। খুলনা থেকে আসা ৫১টি নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ জন। দু’টি ল্যাব থেকে ২শ’ ৬৭টি নমুনা পরীক্ষায় মোট ৮০ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। এর ভেতর অর্ধেকের বেশি ৪৪ জন যশোর সদরে আক্রান্ত হয়েছে।
এছাড়া ঝিকরগাছায় ১৪ জন, কেশবপুর ও মনিরামপুরে ৬ জন করে ১২ জন, অভয়নগরে ৫ জন, বাঘারপাড়ায় ৩ জন ও শার্শায় ২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ যাবত আক্রান্ত হয়েছেন যশোর শহর এবং সদরে ১ হাজার ৪শ’ ৫৬ জন, অভয়নগরে ৩শ’ ৬১ জন, কেশবপুরে ২শ’ ২৬ জন, ঝিকরগাছায় ২শ’ ১৮ জন, শার্শায় ২শ’ ২০ জন, মনিরামপুরে ১শ’ ৩৪ জন, চৌগাছায় ১শ’ ২৮ জন, বাঘারপাড়ায় ৬৬ জন ও যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ৩৩ জন। ১ হাজার ৮৩ জন হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নতুন করে পরীক্ষা করার জন্য আরও ১শ’ ২৮টি নমুনা গতকাল যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল আক্রান্তদের মধ্যে ভারত থেকে দেশে আসা ঝিকরগাছার গাজীর দরগাহের কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৭ জন মুসল্লি রয়েছেন। মুসল্লিগণ হচ্ছেন- পল্টু জামান (৬২), আব্দুল রউফ (৮৫), মাহমুদা বেগম মলী (৩৭), রব্বেল মিয়া (২১), হাফিজুর রহমান (৫৫), আমিনুর ইসলাম (২৮), মইন উদ্দিন নাইম (২৫), স্থানীয় বাসিন্দা ঝিকরগাছার আশরাফুল ইসলাম সুমন (২৯), জিল্লুর কবির (৫৩), মঈনুল হাসান (৩৫), ইকরাউদ্দিন (২০), আমিনুর রশিদ (৫৫) নিগার সুলতানা (২২), নওরীন সুলতানা (১৬), রাহাজামান যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের ইদ্রিস আলী (২৭), রোকেয়া খাতুন (৩২), ৫ বছরের শিশুকন্যা ঈশারাত ইদ্রিস, সদরের খায়রুল ইসলাম (৪২), পুরাতন কসবা মিশনপাড়ার আনান (১২), বারান্দীপাড়ার মাহবুব রহমান (৩১), পলিটেকনিক কলেজের বিপ্লব বিশ্বাস (৪০), ঘোপ বাবলাতলার আলমগীর (৫৬), লেবুতলার আতিয়ার রহমান, কাজীপাড়া আমতলার আলমগীর (৪০), জেসমিন আরা (৩৮), ফতেপুরের জামাল (৩২), নওয়াপাড়ার রাশিদা (৪৫), আরবপুরের ইশরাত আরামন (২৮), কাজীপাড়ার রবিউল (৫৮), নৈহাটির ইসমাইল (২৮), ঘোপের শাহিন (৩০), আরবপুরের রকিবুল হাসান (৩৩), রোজিনা পারভীন (৪৯), উপশহরের কেয়া (৫০), যশার কেন্দ্রীয় কারাগারের আলীমুল (২২), উপশহরের আলম (৬০), আরবপুরের জোহার তাসনিম (১৯), মিশনপাড়ার সাকিব (২০), খালধার রোডের আতিয়ার রহমান (৬৫), উপশহরের গোলাম মোস্তফা (৬৫), মনোয়ারা মোস্তফা (৫২), ভেকুটিয়ার চানবানু (৪৫), কাজীপাড়ার ফারহান রহমান (২২), ফতেপুরের আদর্শপাড়ার রিমা খাতুন (৩০), মিরাজ হাসান (৪১), কাজীপাড়ার আজিজ সিটির গোবিন্দ চন্দ্র চ্যাটার্জি (৫২), লোন অফিসপাড়ার রিনা ইসলাম (৪৫), জারিন (২১), মনিরামপুরের চিকিৎসক দিপংকর দে (৩০), বাঘারপাড়ার আন্দুলবাড়িয়ার নাজমুল ইসলাম (৩০), আব্দুল লতিফ সরদার (৮৫), ইমুননাহার (৩৫), কেশবপুরের কামরুজ্জামান (২৫), মাসুমা রহমান (২৮), প্রভাষ কুমার দাস (৪০), শম্পা দেবনাথ (২৮), অভয়নগরের নজরুল ইসলাম (৪৫), নাসিমা বেগম (৪৮), নাজমা, দেবাশীষ মন্ডল (৩৫), আব্দুল কাদের (৭৫), জেসমিন নাহার (৩৫), শার্শার আমান আলী (৫৫), ফাতিমাতুননাহার (৫৫)। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাগণ যশোরে প্রতিদিন অধিক সংখ্যক লোক কোভিড-১৯ সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, যশোরে বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। একজন থেকে অন্যজনে করোনা ছড়াচ্ছে। এ অবস্থায় প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্ব সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।