খুলনায় মানববন্ধনে উপকূলীয় বোর্ড গঠনের দাবি

0

খুলনা ব্যুরো ॥ বেড়িবাঁধ সংস্কারের অভাবে বিলীন হতে চলেছে খুলনা উপকূলের বিস্তীর্ণ জনপদ। নদীতে পানি বাড়লেই বিভিন্ন স্থানের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। জীবিকা হারিয়ে অসংখ্য মানুষ উদ্বাস্তু হচ্ছে। এ কারণে স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু করতে হবে। একই সাথে উপকূল রায় পৃথক উপকূলীয় বোর্ড গঠনেরও দাবি উঠেছে। শনিবার দুপুরে খুলনা মহানগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে নাগরিক সমাজ ও পরিবেশ আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এ দাবি উত্থাপন করেন।
সুন্দরবন ও উপকূল সুরা আন্দোলন, পরিবেশ সুরায় উপকূলীয় জোট, লিডার্স এবং সচেতন সংস্থা যৌথভাবে এই কর্মসূচির আয়োজন করে। সুন্দরবন ও উপকূল সুরা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন।
পরিবেশ সুরায় উপকূলীয় জোটের সদস্য সচিব ও সিডিপি’র খুলনার সমন্বয়কারী এস.এম ইকবাল হোসেন বিপবের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন জোটের আহবায়ক এস এম শাহনওয়াজ আলী, কৃষি ও পরিবেশ রা আন্দোলনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায় বাবলু, খুলনা নাগরিক সমাজের আহবায়ক আ ফ ম মহসীন, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মিজানুর রহমান বাবু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাকিলা পারভীন, নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাড. মো. বাবুল হাওলাদার, সাংবাদিক কৌশিক দে বাপি, ওয়ার্কার্স পার্টির নগর সভাপতি শেখ মফিদুল ইসলাম, এনসিআরবি’র জেলা সাধারণ সম্পাদক এম এ কাশেম, গোবাল খুলনার আহবায়ক শাহ মামুনুর রহমান তুহীন, জন উদ্যোগের মহেন্দ্রনাথ সেন, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন আন্দোলনের চেয়ারম্যান শেখ মো. নাসির উদ্দিন, নিসচার এস এম এ রহিম প্রমুখ। মানববন্ধনে উপকূলের হাওড় উন্নয়ন বোর্ডের ন্যায় উপকূলীয় পৃথক বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগকে মাথায় রেখে স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে, যার নিচে ১০০ ফুট, উপরে ৩০ ফুট এবং যার উচ্চতা হবে ৩০ ফুট। বাঁধ রণাবেণের জন্য জরুরি তহবিল গঠন ও বাঁধ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করতে হবে। ওয়াপদা বাঁধের ১০০ মিটারের মধ্যে চিংড়ি বা কাঁকড়ার ঘের তৈরিতে সরকারের দেয়া নিষেধাজ্ঞা দ্রুত কার্যকর করতে হবে। উপকূলীয় জনগণের নিরাপদ খাবার পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধানেও কার্যকর পদপে গ্রহণের দাবি জানানো হয়।