যুবলীগ নেতা-মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ ॥ নাম তার সুজন। তিনি নিজেকে কখনো যুবলীগ নেতা আবার কখনো মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে থাকেন। এ সব পরিচয় দিয়েই তিনি এলাকায় চাঁদাবাজি ও মানুষকে বিপদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। সুজন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নাটাবাড়ীয়া গ্রামের আমির মন্ডলের ছেলে। অভিযোগ উঠেছে, একসময় যারা চরমপন্থিদলের সদস্য ছিলেন, তাদের নিয়ে সুজন গড়ে তুলেছেন চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট। মানুষ তার ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। ইতিমধ্যে সুজনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় অভিযোগ করেছেন জাহাঙ্গীর মন্ডল নামে এক ব্যক্তি। এদিকে হলিধানী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক পারভেজ মিয়া জানিয়েছেন সুজন নামে তাদের কোন নেতা বা কর্মী নেই। অপকর্ম করতেই যুবলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে সুজন এলাকায় ব্যানার ফেস্টুন টাঙ্গিয়েছেন। থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সুজন ও নাটাবাড়িয়া গ্রামের ইসরাইল (ইছা খুড়া) ছেলে বদরউদ্দীন (বুদো) গত ১৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নাটাবাড়ীয়া গ্রামের ছানারদ্দীন মন্ডলের ছেলে জাহাঙ্গীর মন্ডলের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে হাত-পা ভাঙ্গার হুমকি দেয়া হয়। একই গ্রামের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মুক্তারসহ অনেকের কাছে চাঁদা চেয়ে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হয়রানির একাধিক অভিযোগ রয়েছে সুজন ও বুদোর বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সুজন বলেন, ‘আমি চাঁদাবাজির সাথে জড়িত নই। শুধুমাত্র জাহাঙ্গীরের সাথে মজা করেছিলাম।’ এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর জানান, ‘সুজন ও বুদো আমার কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তাই আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’ হলিধানী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ‘জাহাঙ্গীর এলাকায় নিরীহ মানুষ হিসেবে পরিচিত। আমি চাই সুজন ও বুদোর এই অপকর্মের বিচার হোক।’