স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে অস্ত্র আইনের মামলায় পৃথক ধারায় দুই যুবকের ১৭ বছর করে সশ্রম কারাদ- প্রদান করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার সিনিয়র দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ আদালতের বিচারক মো. ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক এই রায় প্রদান করেন। আসামিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. এম ইদ্রীস আলী। দ-প্রাপ্তরা হচ্ছেন-যশোর অভয়নগর উপজেলার সিরাজকাটি (দুর্গাপুর স্কুলের সামনে) গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে জসিম সরদার (২৮) ও খুলনার ফুলতলা উপজেলার যুগ্নিপাশার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মাসুম রেজা (৩০)। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর সকাল নয়টার দিকে বেনাপোল পোর্ট থানার তৎকালীন এসআই সুজিত কুমার মৃধা গোপন সূত্রে জানতে পারেন দুজন অস্ত্র ব্যবসায়ী স্থানীয় বাজার (বেনাপোল বাজার) হয়ে যশোরের দিকে যাচ্ছে। তাদের কাছে অবৈধ অস্ত্র আছে। এ খবর পেয়ে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তিনি যশোর-বেনাপোল সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় উল্লিখিত দুই যুবককে বেনাপোল বাজারের দিক থেকে মোটরসাইকলে করে দিঘিরপাড় ঈদগাহের সামনে পৌঁছালে তাদের গতিরোধ করে পুলিশ। এরপর যুবকদ্বয়কে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করেন যে, তাদের কাছে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি আছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি দোনলা কাটা বন্দুক ও ৫ রাউন্ড বন্দুকের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় এসআই সুজিত কুমার মৃধা অস্ত্র আইনে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন। এ মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান বেনাপোল পোর্ট থানার তৎকালীন এসআই মতিউর রহমান। তিনি তদন্ত শেষে আটক জসিম সরদার ও মাসুম রেজার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের প্রত্যেককে পৃথক দুটি ধারায় ১৭ বছর করে সশ্রম কারাদ-ের আদেশ দেন। পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. এম ইদ্রীস আলী জানান, আসামিদের প্রত্যেককে অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ১০ বছর করে এবং গুলি রাখার দায়ে ৭ বছর করে কারাদ- দিয়েছেন আদালত। দুটি সাজা এক সাথে চলবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।