স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত : স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির দ্বারপ্রান্তে এসেও দেশের গণতন্ত্র নির্বাসিত

0

মাসুদ রানা বাবু ॥ বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির দ্বারপ্রান্তে এসও দেশের গণতন্ত্র নির্বাসিত জনগণের ভোটাধিকার লুন্ঠিত, আইনের শাসন মানবাধিকার ভুলুন্ঠিত। স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও মুক্তভাবে বেঁচে থাকার ন্যূনতম কোন পরিবেশ নেই। ক্ষমতাসীনরা নিজ হাতেই গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছে।
গতকাল বুধবার জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যশোর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত কেন্দ্রীয় সভাপতি শফিউল বারী বাবুর আত্মার মাহফিরাত কামনায় দোয়া ও আলেম ওলামাদের মাঝে পাঞ্জাবী ও জায় নামাজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেণ, শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক হিসেবে কঠিন শপথ নিতে হবে, স্বৈরাচারীরা কারাগার থেকে দেশ ও জনগণ মুক্ত করতে হবে। ফিরিয়ে দিতে হবে তাদের ভোট ভাতের অধিকার। সর্বোপরি মৌলিক অধিকার। আজ তারেক রহমান বাংলাদেশের একমাত্র আশা আকাঙ্খার প্রতীক। দেশের নির্যাতিত নিপীড়িত জাতি তার প্রতীক্ষায় রয়েছে। আজকে এই করোনা সংকটকালে তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের খাদ্য চিকিৎসাসহ সুরক্ষা ও সহায়তা প্রদান করছি। আর ক্ষমতাসীনরা তখন লুটপাট, চাল চুরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। যে কারণে জনগণ অনেক আগেই তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আজ নির্যাতিত নিষ্পেষিত জনতার শান্ত্বনা সে। তাদের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ মুক্ত হয়ে নিজ বাসভবনে চিকিৎসা নিচ্ছে। কিছুদিন আগে আমরা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুকে হারিয়েছি। তিনি জিয়া পরিবারের প্রতি অবিচল আস্থা রেখে সব সময় আপসহীন ছিলেন। অবৈধ সরকারের রক্তচু কোন দিন তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। আজকে তাকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে। আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শকে বুকে ধারণ করে জনগণের জন্য রাজনীতি করি। তাই জনগণের স্বার্থে একটি বৃহ্তর আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার হটিয়ে জনতার সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই আন্দোলনে নিজের জীবন বাজি রেখে অংশ নিতে প্রস্তুত। পরে অনিন্দ্য ইসলাম অীমত আলেক ওলামাদের মাঝে জায়নামাজ ও পাঞ্জাবী প্রদন করেন। অনুষ্ঠানে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. এসহক, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূর উন নবী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. হাজী আনিসুর রহমান মুকুল, সিরাজুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুকচাঁদ, পৌরসভার কাউন্সিলর রাদে আব্বাস রাজু। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শাহাদৎ উল্লা লাল্টু, হাসিব চৌধুরী, আকবর হোসেন খোকন, নূর ইসরাম বুল্লা, যশোর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা, যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল হোসেন বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা রজিবুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা তাঁতী দলের সদস্য সচিব মাসুদুর রহমান, ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, যুবদল নেতা আবুল কাশেম কালু, ইদ্রিস আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি নি র্মল কুমার বীট, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হায়দার রানা, মোস্তফ তরফদার রয়েল, শেখ রকিবুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মিলন, মাহামুদ হাসান চুন্নু, বাবর আলী বাবু, সাঈদ হোসেন হীরা, আনোয়ারুল করিম আজাদ, যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহম্মেদ, আসলাম শেখ, সহ-সাধারণ সম্পাদক তানজিদুর রহমান তানিম, ওসমান গণি, কামরুজ্জামান কামরুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবতারুল আলম পরাগ, ইব্রাহিম হোসেন, আকবর হেসেন, রকিবুল ইসলাম রাসেল, দপ্তর সম্পাদক সাইফুল বাশার সুজন, প্রচার সম্পাদক ইমরান হাসান বনি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জি সাইফুল ইসলাম, সাহিত্য সম্পাদক জি এম সামাদ, পরিকল্পনা সম্পাদক ইমদাদুল হক, তথ্য সম্পাদক আল মামুন শাওন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক খন্দকার ফকরুজ্জামান রাসেল, পরিবেশ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। আরও অন্যান্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য শাহিদুর রহমান, ইসমাইল হেসেন, রুহুল আমিন, পিন্টু রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমীর ফয়সাল। এর আগে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ তাকে নিয়ে কারবালা কবরস্থানে নিয়ে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় জেরা বিএনপির সাবেক সভাপতি চৌধুরী, চৌধুরী সাহিদুল ইসলাম নয়ন সহ দলের প্রয়াত নেতাকর্মীদের কবর ও তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়। বিকেলে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে দলের প্রয়াত ও অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।