বিপজ্জনক হয়ে উঠছে যশোর একদিনে শিশুসহ আক্রান্ত ৪৪

0

বি এম আসাদ ॥ করোনা ভাইরাস থেকে শিশুরাও রক্ষা পাচ্ছে না। দিন দিন বিপজ্জনক হয়ে উঠছে যশোর। গতকাল এক বছরের শিশু, ২ জন চিকিৎসক, বাংকারসহ বিভিন্ন পেশার ৪৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে যশোরে কোভিড-১৯ সংক্রমনে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৫শ’ ২১ জনে দাঁড়ালো। মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১ জনে। এর ভেতর যশোরে ৩৪ জন, ঢাকায় ৪ জন ও খুলনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়। সিভিল সার্জন অফিসের দাবি গত ২৪ ঘণ্টায় ৭০ জন ও এ যাবত ১ হাজার ৫শ ৪৩ জন কোভিড ১৯ রোগী সুস্থ হয়েছেন। হাসপাতাল আইসোলেশনে আছেন ৩২ জন। হোম আইসোলেশনে ৯শ’ ১২ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সিভিল সার্জন অফিসের এমওসিএস ডাঃ রেহনেওয়াজ জানিয়েছেন, গতকাল যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১শ’ ৫টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। এতে ৪০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। খুলনা মেডিকেল কলেজ হতে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে ২১টি। তাতে ৪ জন করোনায় আক্রান্ত হন। সব মিলে ১শ’ ২৬টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ জন। এর ভেতর যশোর সদরে ১৫ জন, অভয়নগরে ১১ জন, চৌগাছায় ৮ জন, কেশবপুরে ৫ জন, মনিরামপুরে ৩ জন ও শার্শা উপজেলায় ২ জন করোনায় আক্রান্ত হন। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন আর্মি মেডিকেল কলেজের শিক্ষক শহরের ঘোপ এলাকায় বসবাসকারী ডাঃ আহসানুল হক সোহেল (৩৬), উপশহর বি-ব্লকের ডাঃ গুলশানারা রহমান (৩৫), তার পরিবারের ১ বছরের শিমু নুসিবা তাহসিন, ডি-ব্লকের ফজলুল করিম (৩২), ডিসি অফিসে কর্মরত ঘোপ এলাকার কামাল উদ্দিন (৪৩), মনিরুজ্জামান (২৭), জেলরোডের সৈয়দা জান্নাত (২৭), নীলগঞ্জ এলাকার তাপস কুমার ঘোষ (৪২), পুরাতন কসবার আতিয়ার রহমান (৬৫), রাহাত হোসেন (২৮), ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত বারান্দী মোল্লাপাড়ার তৌকির রহমান (৫০), ষষ্টিতলাপাড়ার শরীফ মাহমুদ (৩৯), সাদিয়া আক্তার (৩৩), আরবপুরের বাবু (৪০)। চৌগাছা বাজারের আম্রকানন পাড়ার সৌরভ (২৪), ঋষিপাড়ার রওশন আরা (৪৫), গদার্বরপুরের জাজিন্ট মন্ডল (৫০), বিউটি মন্ডল (২৬), জগদিশপুরের জিহান খান (১৭), অভয়নগরের নওয়াপাড়ার শাহ আলম (৪০), গুয়াখোলার সীমা হাজারী (৪০), মোফাজ্জেল হোসেন (৪০), ফিরোজা বেগম (৭০), চাপাতলার অর্জুন বর্মন (২৭), চলিশিয়ার সামাদ হোসেন (২৯), বুইকরার জেসমিন নাহার (৪০), বারান্দিগ্রামের নাজমুল হোসেন (৩৪), বেঙ্গল মডেল কলেজের শিক্ষিকা পারভীন আক্তার (৪৫), মনিরামপুরের চিত্ত বিশ্বাস (৬২), আব্দুল আজিজ (৬০), মনিরামপুর পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে কর্মরত মনিরুজ্জামান (২৮), তাহেরপুরের আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪৫), স্বাস্থ্য কর্মী হাবিবুর রহমান (৩২), কেশবপুর সোনালী ব্যাংকে কর্মরত নয়ন কুমার দাস (৩১), কেশবপুর নির্বাচনী অফিসে কর্মরত নূর মোহাম্মদ গাজী (৫৫), কেশবপুরের অশোক কুমার সাহা (৩৮), আলতাপোলের নাসরিন সুলতানা (৩৬), শার্শার হুমায়ুন কবীর (৩২) ও কাজীরবেড় গ্রামের মতিয়ার রহমান (৪৫)। যশোর ছাড়াও যবিপ্রবি থেকে ৫৫টি নমুনা পরীক্ষায় মাগুরার ১৯ জন ও নড়াইলের ৪৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ১২ জন কোভিড-১৯ সংক্রমনে আক্রান্ত হয়েছেন।