করোনা উপসর্গ নিয়ে যুবলীগ নেতার মৃত্যু

0

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা॥ চুয়াডাঙ্গায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এক যুবলীগ নেতাসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে জীবননগর উপজেলা শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী যুবলীগ নেতা দরবেশ দফাদারের (৩০) মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৭ আগস্ট) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার বাড়ি জেলার জীবননগর উপজেলার ধোপাখালী গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত জাহা বক্সের ছেলে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা ছিলেন তিনি।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জুলিয়েট পারফিউন জানান, দরবেশ দফাদার ৬-৭ দিন আগে থেকে জ্বর, ঠান্ডা, কাশি এবং শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তিনি নিজ বাড়িতে থেকে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। রোববার সন্ধ্যায় তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তিনি জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তার মৃত্যু হয়। তিনি আরও জানান, দরবেশ দফাদারের শরীরে করোনা ভাইরাসের সবগুলো উপসর্গ ছিল। এক্সরেতে দেখা গেছে তার ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হবে। জীবননগর উপজেলা ইসলামী ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার আব্দুল হাকিম জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার দাফন কাজ সম্পন্ন করা হবে।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হামিদুল ইসলাম নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার আবুরী গ্রামে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামিম কবির জানান, রোববার সকালে জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন হামিদুল ইসলাম। করোনার উপসর্গ থাকায় সদর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের হলুদ জোনে ভর্তি করা হয় তাকে। পরে দুপুরে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার দাফন কাজ সম্পন্ন করা হবে।
এদিকে একদিনে জেলায় নতুন করে আরও ১০ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৯৭ জনে। সুস্থ হয়েছেন ৪৯৭ জন ও মারা গেছেন ২০ জন।