দেবহাটায় সমিতির টাকা তোলার নাম করে বৃদ্ধা মাকে নিয়ে এসে জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগ

0

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা॥ সমিতির টাকা তোলার নাম করে বৃদ্ধা মাকে ভুল বুঝিয়ে প্রতারনা করে প্রায় সাড়ে চার বিঘা সম্পত্তি লিখে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দ্বিতীয় পুত্রের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় ওয়ারেশ কাম সার্টিফিকেটে ওয়ারেশদের নাম বাদ দিয়ে সে এই জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে। এ ঘটনায় ঐ বৃদ্ধা সম্পত্তি ফেরত পাওয়ার জন্য দেবহাটা থানায় সাধারন ডায়রি করেছেন। যার নং ১৯৬ তারিখ ৭/৮/২০২০। ঘটনাটি ঘটেছে দেবহাটা উপজেলার দুই নং পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের এক নং ওয়ার্ডের উত্তর কোমরপুর গ্রামে।
সাধারন ডায়রি সুত্রে জানা যায়, উত্তর কোমরপুর গ্রামে মৃত হালিম মোল্লার ছেলে মৃত আবুল কাশেম মোল্লা সম্প্রতি মারা যান। মারা যাওয়ার পূর্বে তিনি দুই স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে রেখে যান। তার প্রথম স্ত্রী মৃত সুফিয়া খাতুনের এক ছেলে ও পাঁচ মেয়ে। দ্বিতীয় স্ত্রীর ছকিনা খাতুনের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। দ্বিতীয় স্ত্রী ছকিনা খাতুনের দ্বিতীয় সন্তান জাকির হোসেন তার মাকে সমিতির টাকা তোলার নাম করে প্রথমে সখিপুর সাব রেজিষ্ট্র অফিস থেকে গত ১/৬/২০২০ তারিখে ৬৭৯/২০২০ নং দলিলে ৯৯ শতক জমি লিখে নেয়। এরপর বলে মা আমি টাকা তুলতে পারেনি তোমাকে সাতক্ষীরায় যেতে হবে। এই বলে সে আমাকে সাতক্ষীরায় নিয়ে এসে গত ১/৭/২০২০ তারিখে সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে ৩৩৫৫/২০২০ নং দলিল মুলে ৪৫.২৫ শতক জমি লিখে নেয়। এরপর আমি জানতে পারি আমার সন্তান আমার কাছ থেকে আমাকে ভুল বুঝিয়ে প্রতারনা করে জমি লিখে নিয়েছে। আমি প্রতিবাদ করতে গেলে সে আমাকে খুন জখম করার হুমকি দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন আমার কাছ থেকে প্রতারনা করে জমি লিখে নেওয়ায় আমার অন্য সন্তানরা আমকে ভুল বুজেছে। আমি যদি জমি ফেরত না পাই তাহলে অন্য সন্তানরা আমাকে এই বৃদ্ধ বয়সে কেউ দেখবে না। আমাকে ভিক্ষা করে খেতে হবে। তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন আমি যদি আমার জমি ফেরত না পাই তা হলে অন্য সন্তানদের হক আমি ফাকি দিয়ে গেলাম। আমি মরে গিয়েও শান্তি পাব না। তিনি উক্ত দলিল বাতিল ও জমি ফেরত পাওয়ার দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।