ঝিকরগাছায় আগুনে ঝলসে চিকিৎসার অভাবে বস্তিতে কাঁতরাচ্ছেন দু সন্তানের জননী

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় আগুনে ঝলসে অর্থাভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন না গৃহবধূ সালেহা বেগম (৩০)। রাইস কুকার বিস্ফোরণ হয়ে শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে তার। অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন উপজেলার মল্লিকপুর রেললাইনের ধারে বস্তিতে। জরুরি ভিত্তিতে তার চিকিৎসা না হলে বাঁচবে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার চিকিৎসার জন্য দেড় থেকে ২ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু গৃহপরিচারিকা সালেহা বেগমের পে এ খরচ বহন করা সম্ভব নয়। উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের স্ত্রী সালেহা বেগম। তার কোনো বসতবাড়ি নেই। রেললাইনের সরকারি খাসজমিতে গড়া ওঠা বস্তিতেই তার বসবাস। স্বামী আর দুই সন্তান নিয়েই ছিলো ছোট্ট সংসার। কিন্তু চার বছর আগে স্বামী মনিরুল ইসলাম হঠাৎ করেই বাড়ি নিখোঁজ হন। ১১ বছরের ছেলে ও ৯ বছরের মেয়েকে নিয়ে পরের বাড়িতে ঝি-এর কাজ নেন। কিন্তু সম্প্রতি রান্না করতে গিয়ে অগিআনদগ্ধ হয়ে ভীষণভাবে তিগ্রস্ত হয় তার শরীর। চিকিৎসকরা বলছেন তার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। জরুরিভিত্তিতে তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। চিকিৎসায় তার ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা খরচ হতে পারে। ইতোমধ্যে সহায়-সম্বল বিক্রি করে ও স্বজনদের সহযোগিতায় তার অর্ধ লাধিক টাকা খরচ হয়ে গেছে। নিঃস্ব সালেহার আর কোনো উপায় নেই চিকিৎসার খরচ মেটানোর। তিনি তার দু সন্তানকে মানুষ করার জন্য বাঁচতে চান। তিনি তার চিকিৎসায় সমাজের বিত্তবান ও সরকারের সহায়তা চেয়েছেন। সালেহা বেগমের ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, গত ৭ আগস্ট প্রতিবেশীর কাছ থেকে চেয়ে আনা রাইস কুকারে বাড়িতে রান্না করছিলেন। হঠাৎ রাইস কুকারটি বিস্ফোরণ হয়ে আগনে তার শরীর ঝলসে যায়। ভাগ্রক্রমে তার দুই সন্তান বেঁচে গেলেও তিনি এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। স্বজনেরা প্রথমে ঝিকরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানেও চিকিৎসার অবনতি দেখে তাৎণিকভাবে তাকে ঢাকা বঙ্গবন্ধু বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু অর্থের অভাবে সেখানে নিয়ে যেতে পারেনি তার পরিবার। সেই মল্লিকপুর রেললাইনের বস্তিতেই কাতরাচ্ছেন দুই সন্তানের জননী সালেহা বেগম। তার অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। খাওয়া দাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। সালেহা বেগম ও তার ভাই জাহাঙ্গীর হোসেনের আকুল আবেদন, সমাজের বিত্তশালীরা যেন তার দুটি অবুজ শিশুর কথা ভেবে হলেও তাকে আর্থিক সহায়তায় এগিয়ে আসেন। সালেহা বেগমের চিকিৎসার আর্থিক সহায়তা পাঠাতে ও যোগযোগ বিকাশ (পার্সোনাল) নাম্বার : ০১৯৩৪-৩৪৪২৪০।