পাউবোর ভুলের মাশুল দিচ্ছেন শার্শার কৃষকরা

0

স্টাপ রিপোর্টার॥ যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের ত্রুটিপূর্ণ স্লুইচগেট নির্মাণের কারণে ইছামতি নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে যশোরের শার্শা উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন। দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে পানির নিচে। উত্তর শার্শায়ও ঢুকে পড়েছে ভারতের উজানের পানি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, ইছামতির জোয়ারের পানি শার্শার রুদ্রপুর ও পুটখালির খলশী খাল দিয়ে প্রবেশ করে শার্শা ও ঝিকরগাছার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত করেছে। উপজেলায় ৩টি স্লুইচগেট থাকলেও তার কোনো খালাসী নেই, নেই নজরদারিও।
শার্শা উপজেলার পুটখালী, গোগা, উলাশী, বাগআঁচড়া ও কায়বাসহ ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। ইছামতির সঙ্গে সংযুক্ত রুদ্রপুর ও খলশী খালে ক্রটিপূর্ণ স্লুইচগেট নির্মাণের ফলে ভারতের ইছামতি নদীর পানিতে এলাকা প্লাবিত হচ্ছে বলে চাষিদের অভিযোগ। ইছামতির পানি ঠেকাতে রুদ্রপুর খালে দুটি ও খলশী খালে একটি স্লুইচগেট নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু ত্রুটিপূর্ণ থাকায় তা কোনো কাজে আসছে না। ফলে ওই খাল দুটি দিয়েই ভারতের পানি ঢুকে শার্শার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত করছে। কয়েকজন চাষি জানান, রুদ্রপুর ও খলশী খালে পাম্পসহ স্বয়ংক্রীয় গেট নির্মাণ করলে এর স্থায়ী সমাধান হবে এবং চাষিরা ১২ মাস ঘরে ফসল তুলতে পারবেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল জানান, ৫টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ২০ হাজার ১৩১ হেক্টর জমিতে ফসল লাগানো হয়েছে। কিন্তু ভারতের উজানের পানিতে ২ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমির ধান, পাট ও সবজি তলিয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বেনাপোলের পুটখালী ইউনিয়নে। এখানে ৪০০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। কায়বায় ৩৫০ হেক্টর, গোগায় ২২৫ হেক্টর, বাগআঁচড়ায় ২৫০ হেক্টর ও উলশীতে ১২৫ হেক্টর জমির ফসল ভারতের উজানের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানদের মুখে শুনেছি ভারতের পানি রুদ্রপুর ও খলশী খাল দিয়ে ঢুকে ফসলের ক্ষতি করছে। এসিল্যান্ড ও ইঞ্জিনিয়ারকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার পুটখালী ও বারোপোতার বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শন করেছি। ইছামতি নদীর পানির সমস্যাটা আন্তর্জাতিক ব্যাপার। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ইচ্ছা করলে এর সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে পারে।