মাস্ক ব্যবহারে অনীহা বাড়ছে

0

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা॥ করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক হলেও এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কুষ্টিয়ায় মানুষের মধ্যে অনীহা বাড়ছে। মাস্ক ছাড়া ঘর থেকে বের হলে জরিমানার বিধান করা হয়েছে। তবে জেলার হাট-বাজার, শপিংমল এমনকি পাড়া-মহল্লায় সীমিত সংখ্যক মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছেন। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) মাস্ক ব্যবহার না করায় কুষ্টিয়ার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়েছে।
স্থানীয় ইজিবাইক চালক আব্দুল মতিন বলেন, ইজিবাইকে ওঠার সময় অনেকে মাস্ক ব্যবহার করেন না। আবার মাস্ক ব্যবহারের কথা বললে তারা অন্য গাড়িতে চলে যান। বাধ্য হয়ে আমাদের মাস্ক ছাড়া যাত্রী ওঠাতে হয়। সিএনজি চালক খাইরুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসে রোধে প্রত্যেকের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু মানুষের মধ্যে সচেতনতা কম। প্রথম দিকে সবাই মাস্ক ব্যবহারে আগ্রহী ছিল। তবে দিন যত যাচ্ছে, মানুষের আগ্রহ কমে আসছে। ভ্যান চালক জামিরুল ইসলাম জানান, মাস্ক ব্যবহার হরে ভ্যান চালাতে গেলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। এজন্য সব সময় মাস্ক ব্যবহার করতে পারি না।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিরাজ প্রামাণিক বলেন, ২০১৮ সালের সংক্রমক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন ২৫(২) ধারা মতে- কেউ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বাধা দিলে বা নির্দেশ পালনে অসম্মতি জানালে তাকে ৩ মাসের কারাদণ্ড অনুর্ধ্ব ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, সবশেষ সোমবার (১০ আগস্ট) পর্যন্ত কুষ্টিয়ায় ২ হাজার ১২১ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪৪৫ জন সুস্থ হয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৭ জন। এছাড়াও কুষ্টিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ডা. নজমুল মনির বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ রোধে মাস্ক ব্যবহার অবশ্যই জরুরি। কেননা হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে এই ভাইরাসটি ছড়ায়। মাস্ক ব্যবহার না করা হলে নব্বই শতাংশ আক্রান্তের ঝুঁকি থাকে। একই মাস্ক দীর্ঘদিন ব্যবহার করা এবং সঠিক নিয়মে ব্যবহার না করলেও সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। তবে মাস্ক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন একই মাস্ক ব্যবহার না করা এবং প্রয়োজনে মাস্কটি পরিষ্কার করে ব্যবহার করার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।