কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় দু কিলোমিটার দূরে হওয়ায় চরম দুর্ভোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার, কেশবপুর (যশোর) ॥ যশোরের কেশবপুর উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় শহর থেকে দু কিলোমিটার দূরের বালিয়াডাঙ্গা এলাকার নির্জন স্থানে পরিত্যক্ত টিন সেডের ঘরে স্থানান্তর করায় ইউনিয়নবাসী চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এলাকাটি জনবহুল না হওয়া এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও দূরবর্তী স্থানে হওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে স্থান পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন।
যুগ যুগ ধরে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চলে আসা ভবনে পুনরায় স্থানান্তরের জন্য নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকার ভুক্তভোগী মানুষ। কেশবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে পরিচিত ৬ নম্বর কেশবপুর ইউনিয়ন। কেশবপুর পাবলিক ময়দানের উত্তর পাশে (বর্তমান পৌরসভা ভবনের সামনে অবস্থিত) একতলা বিশিষ্ট ভবনটিতে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে স¤পন্ন হয়ে আসছিল। সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউনিয়নটির শেষ প্রান্তে বিল গরালিয়া পাড়ে একটি পরিত্যক্ত টিন সেডের ঘরে ওই ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় স্থানান্তর করেন। জনগণের সেবাদানের নুন্যতম কোনো পরিবেশ এখানে নেই। সামান্য বৃষ্টি হলে ওই ঘরের চারপাশ পানিতে তলিয়ে যায়। ইন্টারনেট সংযোগ না পাওয়ায় তথ্যসেবায় জনগণের ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে। এমন দূরবর্তী নির্জন স্থানে সেবা নিতে গিয়ে জনগণ বিশেষ করে কর্মজীবী নারী, পুরুষেরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক স¤পাদক ইউপি মেম্বার গৌতম রায় জানান, সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাগরিক সুযোগ সুবিধার কথা বিবেচনা না করেই পরিত্যক্ত ঘরে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় স্থানান্তর করেন। কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন জানান, বর্তমানে টিন সেডের ঘরে সেবাদানের কোনো পরিবেশ নেই। সামান্য বৃষ্টি হলে ওই ঘরের চার পাশ পানিতে তলিয়ে যায়। দূরে সেবা নিতে গিয়ে এলাকাবাসী যেমন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তেমনি ভবন না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমে বিঘেœর সৃষ্টি হচ্ছে।