লোহাগড়ায় স্ত্রীর পরকীয়ায় হুমকির মুখে কন্যাসহ ব্যবসায়ী আফজাল

0

লোহাগড়া (নড়াইল) সংবাদদাতা ॥ নড়াইলের লোহাগড়ায় স্ত্রীর পরকীয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্বামী মো. আফজাল হোসেনসহ তার মেয়ে। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়–য়া নিজ মেয়েকে নিয়ে তিনি এখন স্ত্রীর সমর্থিত সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকির মুখে অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন। অভিযোগে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মো. আফজাল হোসেনের (৪৫) সাথে ২০০৮ সালে নড়াইল সদর উপজেলার চিলগাছা রঘুনাথপুর গ্রামের আয়ুব মোল্যার মেয়ে মোছাম্মাত মিনার (৩৬) বিয়ে হয়। আফজাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার সাথে বিয়ের আগেও মিনার অন্যত্র জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। মিনার পরিবার আমার কাছে বিষয়টি গোপন রেখেছিল। বিয়ের পর আমাদের সংসারে একটি কন্যা সস্তান জন্ম নেয়। সেই কন্যা সন্তান সামিয়া খাতুন (৯) এখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। আমি ব্যবসার কাজে বাইরে থাকায় আমার সংসারে থাকাকালেই স্ত্রী অন্য পুরুষের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে স্ত্রী আমার বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও মূল্যবান আসবাবপত্র নিয়ে চলে যায় এবং আমাকে তালাক প্রদান করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় নিজ মেয়ের কথা চিন্তা করে ২০১৯ সালে আমি পুনরায় মিনাকে বিয়ে করি। কিন্তু এরপরও মিনা পরপুরুষের সাথে গড়ে তোলা পরকীয়া সম্পর্ক চালাতে থাকে। একদিন সুযোগ বুঝে মিনা আবারো তার পরকীয়া প্রেমিকের কাছে চলে যায়। গত ১৫ মে পোস্ট অফিস থেকে প্রাপ্ত এক পত্রের মাধ্যমে জানতে পারি আমাকে মিনা তালাক দিয়েছে। আমি ওই তালাকনামায় স্বাক্ষরিত কাজীর সাথে দেখা করলে কাজী জানান, আমার এখান থেকে কোন তালাকনামা যায়নি। গত ১ জুন আমি লোহাগড়া বাজারে গেলে মিনা লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, ফ্রিজসহ দামি আসবাবপত্র নিয়ে যায়। আমি এ ঘটনায় মিনাকে প্রধান আসামি ও আয়ুব মোল্যা, ফরিদা বেগম, কবির মোল্যাসহ অজ্ঞাত দু জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় গত ২৬ জুন মামলা দায়ের করি। মামলা নম্বর-২১। পুলিশ ওই মামলায় আদালতে চার্জশিট প্রদান করেছে। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে’।
ব্যবসায়ী মো. আফজাল হোসেন আরো অভিযোগ করেন, ‘মিনা বেগম ও তার সমর্থিতরা বিভিন্নভাবে আমি ও আমার মেয়ে সামিয়াকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। মিনা হুমকি দিয়েছে যে, নিজেই নিজের শরীরে এসিড ঢেলে বা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে আমাকে ফাঁসিয়ে দেবে। আমার নামে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করারও হুমকি দিয়েছে মিনা। আমি ওই নারীর হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি’।