রিমান্ড শেষে সাতক্ষীরা কারাগারে সাহেদ

0

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা॥ ১০ দিনের রিমান্ড শেষে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে সাতক্ষীরা আদালতে সোপর্দ করেছে র‌্যাব। বুধবার (৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে সাহেদকে সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়া হয়। আদালতে তোলার পর আমলি আদালত-৩ এর বিচারক রাজীব রায় সাহেদকে সাতক্ষীরা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রিমান্ডের চতুর্থ দিন গত ৩০ জুলাই সাহেদকে খুলনা র‌্যাব কার্যালয় থেকে তার গ্রেফতারের স্থান সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী শাখরা-কোমরপুর এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওইদিন বিকেলে লাবণ্যবতী নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজের ওপর মিনিট দশেক রাখা হয় সাহেদকে। পরে তাকে আবারও খুলনায় র‌্যাব-৬ সদর দফতরে নিয়ে যায় র‌্যাব। তদন্তের স্বার্থে রিমান্ডে প্রাপ্ত তথ্য না জানানো হলেও দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, সাহেদ মাঝে মাঝে খুব ক্ষিপ্ত আচরণ করেছেন। আবার কখনো কখনো ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। তবে গ্রেফতার হওয়ার আগে সাতক্ষীরায় তার অবস্থান ও অস্ত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের এসআই রেজাউল ইসলাম জানান, রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা উচিত হবে না।
গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর সীমান্তের লাবণ্যবতী নদীর উপর নির্মিত ব্রেইলি ব্রিজের নিচ থেকে সাহেদকে বোরকা পরিহিত অবস্থায় গ্রেফতার করে র‌্যাব। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। সকাল ৮টায় হেলিকপ্টারযোগে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকায়। ওই দিন রাতেই র‌্যাব-৬ এর সিপিসি-১ এর ডিএডি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৯৭৮ সালের আর্মস অ্যাক্টের ১৯-এ উপধারা ও ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ এর বি/এ ধারায় দেবহাটা থানায় একটি মামলা করেন। মামলা নং ৫। মামলায় প্রধান আসামি সাহেদ, বাচ্ছু মাঝি ও অপর একজন অজ্ঞাত। অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাবের পক্ষ থেকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। গত ২৬ জুলাই সাতক্ষীরার আমলি আদালত-৩ এর বিচারক (ভার্চুয়াল) রাজীব রায় শুনানি শেষে সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড কার্যকরে পরদিন ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সাহেদকে খুলনা র‌্যাব কার্যালয়ে আনা হয়।