টেস্ট কমায় ৩৫ দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম শনাক্ত

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ দেশে সবশেষ চব্বিশ ঘণ্টায় ২ হাজার ৬৮৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে, যা ৩৫ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এতে অবশ্য আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু নেই। কেননা সংখ্যায় কমলেও বেড়েছে শনাক্তের হার। আর শনাক্তের সংখ্যায় ভাটা পড়ার কারণ বরং সবশেষ একদিনে নমুনা পরীা কমে যাওয়া। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়, এদিন সকাল আটটা পর্যন্ত করোনার নমুনা পরীা করা হয়েছে ১১ হাজার ৪৭৫টি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া দৃশ্যমান তথ্যানুযায়ী নমুনা পরীার এই সংখ্যা এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সবশেষ চব্বিশ ঘণ্টায় নমুনা পরীা কেন কম হলো বা কতটি পরীাগার থেকে নমুনা পরীার ফল এসেছে এ ব্যাপারে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার বুলেটিনে কিছু জানানো হয়নি।
১১ হাজার ৪৭৫টি নমুনা পরীার মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে ২ হাজার ৬৮৬ জনের মধ্যে, যা ৬ জুনের পর সবচেয়ে কম। শনাক্তের হার অবশ্য আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে, সর্বোচ্চ ২৪.০ শতাংশ। সবশেষ হিসেব অনুযায়ী দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৮১ হাজার ১২৯ জনে। গত বছরের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান বাংলাদেশে প্রথম মেলে গত ৮ মার্চ। প্রথম শনাক্তের পর দেশে করোনা রোগী সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়ায় ২ জুন। এরপর করোনার সংক্রমণ বেশি দ্রুততর হয়েছে। লাখে পৌঁছানোর মাত্র ১৬ দিনে গত ১৮ জুন দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে যায়। সেখান থেকে তা দেড় লাখে পৌঁছাতে সময় লাগে ১৪ দিন; ২ জুলাই দেশে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ৫৩ হাজার ২৭৭ জন। এরপর সাত দিনে তথা ৯ জুলাই শনাক্তের সংখ্যা ছাড়াল পৌনে দুই লাখ, ১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৯৪ জন। এর তিন দিনের মাথায় শনাক্ত ১ লাখ ৮০ হাজার ছাড়িয়ে গেল। আক্রান্তদের মধ্যে সবশেষ চব্বিশ ঘণ্টায় ৩০ জনসহ মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৩০৫ জনের। আর ১ হাজার ৬২৮ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ৮৮ হাজার ৩৪ জন। মৃত্যু ও সুস্থ বাদে দেশে বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ‘অ্যাকটিভ’ রোগী আছে ৯০ হাজার ৭৯০ জন।