সাতক্ষীরায় দস্যুতায় জড়িত অভিযোগে ৪ জনকে আটক

0

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা ॥ সাতক্ষীরায় পুলিশের অভিযানে জলদস্যুতায় সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্সে সুন্দরবনের দস্যুতা, অপহরণ, মুক্তিপণ, চাঁদা আদায় ও অর্থনৈতিক অপরাধ সংক্রান্ত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। আটককৃতরা হলেন-সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুর এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে মামুনুর রহমান ওরফে খোকাবাবু, সুলতানপুর এলাকার আব্দুল হাকিম গাজীর ছেলে তৈয়েবুর রহমান কামরান, একই এলাকার মৃত শওকত আলীর ছেলে সাইদুর রহমান সাইদ ও দেবহাটা উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের মহিউদ্দীন গাজীর ছেলে আলাউদ্দীন গাজী।
পুলিশ সুপার বলেন, সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কালিন্দী নদীতে মাছ ধরার সময় গত ২০ জুন শ্যামনগর উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের এশার আলী গাজী ও পারশেখালি গ্রামের আজিবর রহমানসহ ৮/৯ জন জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে কতিপয় জলদস্যু। এরপর তাদেরকে সীমান্তবর্তী দেশ ভারতে নিয়ে যায় তারা। অপহরণকারী দস্যুরা পরে বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে তাদের দাবিকৃত মুক্তিপণ নিয়ে ওই জেলেদের ছেড়ে দেয়। পুলিশের কাছে এ সংক্রান্ত অভিযোগ আসার পর সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর্জা সালাহ উদ্দীনের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম ওই জলদস্যুদের আটকের জন্য অভিযানে নামে। এ সময় জলদস্যুতায় সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে ওই ৪ জনকে আটক করা হয়। এছাড়া এ ঘটনায় পলাতক রয়েছে বাংলাদেশী নাগরিক প্রদীপ, পাটকেলঘাটা থানার কুমিরা এলাকার মিঠুন দাস এবং ভারতের বসিরহাট ত্রিমোহিনী এলাকার আক্তার আলম গাজী, পান্না, বাপ্পী ও ঘোজাডাঙ্গা এলাকার হাসান এন্টারপ্রাইজের মালিক নুনু। পুলিশ সুপার আরও জানান, ওই ব্যক্তিরা জলদস্যুদের সাথে সংঘবদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবন থেকে জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, মারপিটসহ নানাভাবে তাদেরকে নির্যাতন চালায়। অবৈধভাবে অর্জিত তাদের এই অর্থ ভারতে পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে।