খামারে পশু বিক্রি হলে টোল নেওয়া যাবে না

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ খামারে পশু বিক্রি হলে সেখান থেকে কোনও ইজারাদার টোল আদায় করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিবছর কিছু খারাপ অভিজ্ঞতা হয়। কোরবানির পশু পরিবহনের রাস্তায় চাঁদাবাজি হয়, দীর্ঘসময় প্রাণীকে ট্রাকে আটকে রাখতে হয়। এবার আমরা চাই কোনোরকম চাঁদাবাজি হবে না। যে অঞ্চলে সুযোগ আছে, সেখান থেকে ট্রেনে পরিবহন হবে। খামারিদের খামারে পশু বিক্রি হলে সেখান থেকে ইজারাদার টোল আদায় করতে পারবেন না।’
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) সচিবালয়ের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে তার দফতর কে কোরবানির পশুর হাটে সুস্থ-সবল গবাদিপশু সরবরাহ ও বিক্রয় নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত এক অনলাইন সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এবছরও দেশে কোরবানির জন্য গবাদিপশুর পর্যাপ্ত জোগান রয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ১ কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০টি গবাদিপশু কোরবানির জন্য মজুত রয়েছে। যার মধ্যে হৃষ্টপুষ্ট গরু-মহিষের সংখ্যা ৪৫ লাখ ৩৮ হাজার এবং ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ৭৩ লাখ ৫৫ হাজার ও অন্যান্য ৪ হাজার ৫০০টি। কোরবানির জন্য কোনও অবস্থাতেই বিদেশ থেকে গবাদিপশু আনার অনুমতি দেওয়া হবে না। করোনার কারণে গবাদিপশু বিপণনে এবছর আমরা অনলাইন বাজারের ওপর জোর দেওয়ার চেষ্টা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘গবাদিপশু বিপণন ও পরিবহন সমস্যা সমাধানে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে হটলাইন স্থাপন করা হবে। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা সার্বণিক হটলাইনে সম্পৃক্ত হবেন। গবাদিপশুর বাজারগুলোতে প্রায় ১২০০ মেডিক্যাল টিম কাজ করবে, যাতে রুগ্ণ গবাদিপশু বাজারে না আসতে পারে। একইসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মনিটরিং টিম গঠন করা হবে। কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ কোনোভাবেই যেন একজন খামারি, বিক্রেতা বা সংশ্লিষ্ট অন্য কেউ তিগ্রস্ত না হন, সে ব্যাপারে কর্মকর্তাদের সতর্ক করেন মন্ত্রী। এসময় কোরবানি সংশ্লিষ্ট সরকারের সব বিভাগকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানেরও অনুরোধ জানান তিনি।