মোটরসাইকেল ফেরত চাইতে থানায় গিয়ে স্ত্রীর যৌতুক মামলায় আটক

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মোটরসাইকেল ফেরত চাইতে যশোর কোতয়ালি থানায় গিয়েছিলেন ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন। কিন্তু সেখানে স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক নিরোধ আইনের মামলায় তিনি পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। বুধবার বেলা ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
ব্যবসায়ী ইমরান হোসেনের পিতা শহরের লোহাপট্টির বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, ২০১১ সালে সদর উপজেলার রূপদিয়া বাজার এলাকার মনিরুজ্জামান মিঠুর মেয়ে শায়লা পারভীন শোভার সাথে তার ছেলের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু শোভা প্রায়ই তার পিতার বাড়িতে অবস্থান করতেন। এতে করে তাদের সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ১৮ জুন স্ত্রী শোভার বিরুদ্ধে ইমরান হোসেন যশোরের মানবাধিকার উন্নয়ন উদ্যোগ ফাউন্ডেশনে অভিযোগ করেন। এরপর থেকে শোভা কখনো পিতার বাড়িতে আবার কখানো শ্বশুরবাড়িতে থাকা শুরু করেন। সর্বশেষ গত কয়েক মাস ধরে শোভা স্বামীকে নিয়ে পিতার বাড়িতে অবস্থান করছেন। গত ১ জুলাই রাত ১০টার দিকে তার ছেলে ইমরান শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শ্বশুরবাড়িতে যান। এ সময় উত্তেজিত হয়ে শোভা তার স্বামীকে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। এনিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শোভা আমেরিকায় বসবাসকারী তার পিতাকে ফোনে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। মেয়ের কাছ থেকে নানা কথা শুনে আমেরিকা প্রবাসী পিতা যশোরে পুলিশের কাছে ফোনে অভিযোগ করেন। পরে সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই গোলাম মোর্তজা সেখানে যান। তিনি ইমরানের মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে তাকে সেখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য বলেন। পরে ওই পুলিশ কর্মকর্তা মোটরসাইকেলও নিয়ে যান। গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে মোটরসাইকেল ফেরত পাওয়ার জন্য থানার ওসির সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওসির সাথে তার দেখা না হলেও সেখান থেকে স্ত্রীর মামলায় তাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে স্ত্রী শায়লা পারভীন শোভা স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন, বিয়ের পর থেকে স্বামী ইমরান ৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে তাকে মারপিট করে আসছিলেন। এক পর্যায় শোভার পিতা জামাইকে ৩ লাখ টাকা দিয়েছেন। ২০১৭ সালে পর থেকে স্ত্রীর কাছে আরও ১০ লাখ টাকা এবং একটি মোটরসাইকেল যৌতুক হিসেবে দাবি করে আসছিলেন ইমরান। এই যৌতুক না পাওয়ায় গত ১ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে মারপিট করেন ইমরান।