পরীক্ষা বন্ধ : যশোর ও খুলনার ল্যাবে নমুনার স্তুপ

0

বিএম আসাদ ॥ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারে করোনার নমুনা পরীক্ষা আপাতত বন্ধ রয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ থেকেও তেমন কোন রিপোর্ট আসছে না। ফলে এ দুটি ল্যাবে নমুনার স্তুপ পড়ে আছে। এদিকে, রিপোর্ট না পেয়ে সন্দেহভাজন করোনা রোগীরা বিপাকে পড়েছেন। যশোর সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানিয়েছেন, গতকাল যশোরের কোভিড-১৯ সংক্রমণে ২ জন আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তরা হচ্ছেন- যশোর শহরের বারান্দীপাড়ার ড্রাইভার মো. মোস্তফা (৪৮) ও অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ার স্কুল শিক্ষক আজিজুর রহমান (৪২)। গতকাল খুলনা মেডিকেল কলেজের ল্যাব থেকে ২টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। এ দুটি নমুনাই ছিল পজেটিভ। এর আগের দিন সন্ধ্যায় খুলনা থেকে নমুনা পরীক্ষার একটি রিপোর্ট আসে। সেটিও ছিল পজেটিভ। ওই রিপোর্টে নওয়াপাড়ার ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম (৪৫) আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ নিয়ে যশোরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭শ’ ৪২ জন। আক্রান্তদের ভেতর ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারিভাবে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন স্বীকার করেছেন। তবে শার্শার হরিশচন্দ্রপুরের ইয়াকুব আলীর মৃত্যুর রিপোর্ট তালিকায় আসেনি। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। করোনা সন্দেহে গতকাল নতুন করে ১শ’ ৩৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর আগেরদিন শুক্রবার ৫৭টি ও বৃহস্পতিবার ২শ’ ৭৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। মোট ৪শ’ ৭০টি নমুনা পাঠানো হয় খুলনা মেডিকেল কলেজের ল্যাবে। কিন্তু নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট দ্রুত সরবরাহ করতে পারছে না তারা। এতে যারা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিচ্ছেন তারা দ্রুত রিপোর্ট না পেয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। এর কারণ হচ্ছে- যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ২ জুলাই হতে নমুনা পরীক্ষার কাজ বন্ধ রয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন, ল্যাব পরিস্কার ও বৈদ্যুতিক কাজ করার জন্যে আপাতত কয়েকদিন পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে, যবিপ্রবি’র ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক লোকসমাজকে বলেন, আগামী রোববার থেকে আমরা করোনার স্যাম্পল নেব। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুতের নতুন একটি সাবস্টেশন বসছে। এ জন্য ল্যাবের কাজ আপাতত বন্ধ করা হয়েছে। দু’একদিনের ভেতর বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনের কাজ শেষ হবে।