চৌগাছায় হাসপাতালে এক্স-রে মেশিনের ঘটনায় দু’জনকে শোকজ

0

এম. এ. রহিম চৌগাছা (যশোর) ॥ চৌগাছায় সরকারি মডেল হাসপাতালের এক্সরে মেশিন কেনায় দুর্নীতির ঘটনায় দুজনকে শোকজ করা হয়েছে। শনিবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.লুৎফুন্নাহার লাকি শোকজ নোটিশ দিয়েছেন। নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন, হাসপাতালের স্টোরকিপার ইমরান হোসেন ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (এক্সরে অপারেটর) জাহাঙ্গির আলম জুয়েল। তাদেরকে শোকজের নোটিশ পিওন দিয়ে হাতে হাতে পৌছে দেওয়া হয়েছে। রবিবারের মধ্যে তাদেরকে এক কর্ম দিবসে নোটিশের জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে এ মেশিনটি হাসপাতালে চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে দিয়েছিল উপজেলা পরিষদ। উপজেলা পরিষদের মাধ্যমেই এর ঠিকাদার অথবা সরবরাহকারী নিয়োগ হয়। হাসপাতাল শুধুমাত্র গ্রহিতা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লাকি।
উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরের এডিপি থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ অর্থ দিয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে হাসপাতালে একটি পোর্টেবল আধুনিক এক্সরে মেশিন দেওয়া হয়। আধুনিক এক্সরে মেশিন কেনার টেন্ডার পায় আর.কে এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির মালিক কবির হোসেন ২৯ জুন এ এক্স-রে মেশিনটি হাসপাতালে সরবরাহ করেন। ডা.লুৎফুন্নাহার লাকি আরও জানান, উপজেলা পরিষদ যেহেতু হাসপাতালে সহায়তা করছে, সে কারণে মান নিয়ে সন্দেহ হয়নি আমার মনে। আমি স্টোর কিপার ও অপারেটরকে বুঝে নিতে বলে প্রত্যয়ণপত্র দিই। আমার ভুল হয়েছে না দেখে প্রত্যয়ণ দেয়া। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (এক্স-রে অপারেটর) জাহাঙ্গির আলম জুয়েল বলেন, কোনো কাগজপত্র ছাড়াই আর.কে এন্টারপ্রাইজের মালিক কবির হোসেন এক্সরে মেশিনটি হাসপাতালে সরবরাহ করেন। পর দিন কবির হোসেন সেই এক্সরে মেশিনটি হাসপাতালে চালু করেন। সেখানে আমরা উপস্থিত ছিলাম। গত ২ জুন যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডাক্তার নাসির উদ্দিন হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে নতুন কেনা পোর্টেবল এক্স-রে মেশিনটি দেখতে যান। এ সময় তিনি বলেন, এ মেশিনটি মোটেও নতুন নয়। এটি পুরাতন মেশিন রং করে নতুন বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্তে ও উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামকেও নির্দেশ দেন।