ভারতের আগ্রাসী প্রতিরোধে পিছু হটলো হতবাক চীন

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ভারতের আগ্রাসী এবং তীব্র প্রতিরোধের কারণে লাদাখের উত্তরবর্তী অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা চালানো চীন এখন হতবাক। বিশেষত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্ব ভারতের তাৎপর্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়ায় পিছু হটেছে চীন। লেহের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভারতীয় সেনাদের মনোবল বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর অবাক করা সফর হজম করতে পারছে না চীন। একারণেই চীনের সরকারি প্রতিক্রিয়াও হারিয়ে গেছে হঠাৎ করেই। সুরও হয়েছে নরম।
করোনা মহামারি পরবর্তী বিশ্বে চীনে বৈশ্বিক আধিপত্য বিস্তারের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে মোদির হুঁশিয়ারি বার্তাতেও থমকে গেছে চীন। চীনের নাম না নিয়েই মোদি সেখানে বলেছেন, সম্প্রসারণবাদের যুগ শেষ, এটি উন্নয়নের যুগ। ইতিহাস জানে যে সম্প্রসারণবাদী শক্তিগুলো হেরে গেছে বা ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছিল। মোদী সেখানেই থামেনি। তিনি স্পষ্ট করে বলেছিলেন, ‘দুর্বলরা কখনই শান্তি অর্জন করতে পারে না, সাহসীরা তা করতে পারে।’ সম্প্রসারণবাদের উল্লেখটি মোদীর কৌশলগত আঘাত। তিনি সম্প্রসারণবাদ বলতে শুরু লাদাখের ভারতীয় অংশে চীনের অননুমোদিত প্রবেশের কথাই বলেননি। বরং সীমান্ত ভাগাভাগি করা সকল প্রতিবেশির সঙ্গে চীনের বিরোধকে ইঙ্গিত করেছেন। এক বাক্যে বলতে গেলে, সীমান্ত বিরোধ ইস্যুতে হয়রানির শিকার হওয়ার ২১টি পক্ষকে সাথে নিয়ে চীনকে একঘরে করতে চায় ভারত।
মোদির এই আগ্রাসী সফরের পর সারাদিনই চুপচাপ ছিল চীন। এমনকি পরিচিত চীনা সমর্থকদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলেও চুপ হয়ে যায়। পরে একটি অবাস্তব বিবৃতি দেয়া হয় চীনের পক্ষ থেকে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ানকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘ভারত ও চীন সামরিক ও কূটনৈতিক চ্যানেলগুলির মাধ্যমে উত্তেজনা কমাতে যোগাযোগ ও আলোচনা করছে। কোনও পক্ষই এই পরিস্থিতিতে পরিস্থিতি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এমন কোনও পদক্ষেপে অংশ নেওয়া উচিত নয়।’ উল্লেখ্য, গত ১৫ জনুু ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার একদিন পর চীন যা বলেছিল, তার তুলনায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মূখপাত্রের এবারের বক্তব্য পিছু হটারই সামিল। সেদিন পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এর মুখপাত্র জাং শিউলি দাবি করেছিলেন, “গ্যালভান উপত্যকা অঞ্চলটি সবসময়ই চীনের সার্বভৌমত্বের অংশ।