করোনা

0

মারা গেলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর স্ত্রী
লোকসমাজ ডেস্ক॥ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানু (৭১)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ জুন মন্ত্রী ও তার স্ত্রী সিএমএইচে ভর্তি হন। মন্ত্রী সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলেও তার স্ত্রীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তিনি সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৯৭৪ সালে লায়লা আরজুমান্দের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। সোমবার বাদ জোহর গাজীপুর সিটি করপোরেশন কেন্দ্রীয় কবরস্থান সংলগ্ন মাঠে তার নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতিরক্ষা সচিবের মৃত্যু
লোকসমাজ ডেস্ক॥ করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রতিরক্ষা সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি মারা যান। প্রতিরা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সেলিনা হক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সচিবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ভাষানী মির্জা বলেন, ‘সকাল পৌনে ৯টার দিকে আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। পরে ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।’ তিনি জানান, করোনা পজিটিভ হওয়ার পর গত ১৯ মে আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরীকে সিএমএইচ ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ৬ জুন তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে গত ১৮ জুন থেকে তিনি শতভাগ ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ছিলেন।

হায়দার আকবর খান রনো আক্রান্ত
লোকসমাজ ডেস্ক॥ বর্ষীয়ান বাম নেতা সিপিবির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হায়দার আকবর খান রনো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তার নমুনা পরীা করে রোববার রাতে করোনাভাইরাস পজেটিভ আসে বলে সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন জানান। তিনি বলেন, “রনো ভাই কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন। রোববার তার নমুনা নেওয়া হয়। রাতে জানা যায়, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। “এখন তার জ্বর ১০২ থেকে ১০৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।” ১৯৪২ সালে জন্ম নেওয়া হায়দার আকবর খান রনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে পড়ার সময় গোপনে কমিউনিস্ট আন্দোলনে যুক্ত হন। ১৯৬২ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনের সময় তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক রনো ৯০ দশকের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনসহ এরশাদ পতনের গণঅভ্যুত্থানের সংগঠক ছিলেন। রাজনীতিকের পরিচয়ের বাইরে তিনি তাত্ত্বিক ও লেখক। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১৩।