স্বজনদের বাঁচাতে না পারার আক্ষেপে পুড়ছেন তারা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ মা আর বোনকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন রিফাত। দুই দিন আগে গিয়েছিলেন মুন্সীগঞ্জের বাড়িতে। সোমবার সকালে মা-বোনকে নিয়ে ঢাকা ফিরছিলেন তিনি। লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিজে বাঁচলেও ডুবে মারা যান মা ময়না বেগম ও বোন মুক্তা বেগম। স্বজনদের বাঁচাতে না পারার আক্ষেপ পোড়াচ্ছে তাকে। রিফাত বলেন, ‘লঞ্চ ডুবে আমি মরে গেলেও যদি ওরা বেঁচে থাকত। আমি এখন কাদের নিয়ে বাঁচব। হে আল্লাহ, তুমি আমাকেও নিয়ে নাও। এ কষ্ট আর সহ্য হচ্ছে না।’ তখন পাশে থাকা মামা বাবুল মোল্লা তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, ‘বাবা তোকে তো বাঁচতে হবে। আমরা তো পাশে আছি।’
মা সুফিয়া খাতুনের চিকিৎসার জন‌্য তাকে ঢাকায় নিয়ে আসছিলেন মেয়ে সুমি খানম। যখন লঞ্চ ডোবে মা-মেয়ে একসাথেই বের হচ্ছিলেন। পিছন থেকে অন্য যাত্রী সুফিয়া খাতুনকে টেনে ধরলে আর বাঁচতে পারেননি সুফিয়া খাতুন। সুমি বলেন, ‘আমরা মা-মেয়ে পাশাপাশি বসে ছিলাম। যখন লঞ্চ ডোবে তখন একসাথেই বের হচ্ছিলাম। কে যেন আমার মাকে পেছন থেকে টান দেয়। আর আমার মা তলিয়ে যায়। আমি আমার মাকে বাঁচাতে পারলাম না।’ ঢাকায় পিভিসি পাইপ কোম্পানিতে কাজ করতেন সাইফুল, তার ছোট ভাই সায়েম আর ভাগ্নে সৌরভ। সকালে তিনজন এক সাথেই অফিসে যোগ দিতে ঢাকায় ফিরছিলেন। সাইফুল আর সৌরভ বাঁচলেও সায়েম মারা যান। চোখর সামনে আদরের ছেট ভাইকে মারা যেতে দেখে বাকরুদ্ধ সাইফুল। ভাইকে বাঁচাতে না পারার আক্ষেপে পুড়ছেন সাইফুল।