ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারীদের ৮২ কোটি টাকার শেয়ার ফ্রিজ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ শেয়ার ও ইউনিট বেচা-কেনার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা বিনিয়োগকারীদের ৮২ কোটি টাকার শেয়ার ফ্রিজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী ছানাউল হক। তবে হাউজটি থেকে বিনিয়োগকারীদের কত টাকার শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে বা নগদ কত টাকা পাওনা রয়েছে তার কোনো তথ্য দিতে পারেনি ডিএসইর এ পরিচালক। অবশ্য প্রতিষ্ঠানটির ডিলার অ্যাকাউন্টে খুবই অল্প পরিমাণ অর্থ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এরপরও বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফিরে পেতে সমস্যা হবে না বলে দাবি করেছেন ডিএসইর এমডি। রোববার ভার্চুয়ালে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে এর মালিক শহিদ উল্লাহ আত্মগোপনে চলে যাওয়ার প্রেক্ষিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ডিএসইর এমডি বলেন, ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ একটি পুরাতন প্রতিষ্ঠান। এ হাউজটির আর্থিক হিসাব খারাপ ছিল না। এমনকি মে মাসেও সমন্বিত আর্থিক হিসাবে ঘাটতি ছিল না। তারপরেও অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেছে, যা সমাধানে ডিএসই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ডিএসই থেকে হাউজটির মালিকরা যেন বিদেশে যেতে না পারে, সে লক্ষ্যে পল্টন থানায় অভিযোগ করা হয় এবং মালিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুরোধ করা হয়। এখন পর্যন্ত তাদের ১০টির বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের ৮২ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট ফ্রিজ করা হলেও বিনিয়োগকারীদের দেনা-পাওনার বিষয়টি এখনো পরিষ্কার না। ৮২ কোটি টাকার বাইরে ওই হাউজে বিনিয়োগকারীদের কত টাকার শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে বা নগদ কত টাকা পাওনা রয়েছে, তা পরিষ্কার না। তবে ফ্রিজ করা শেয়ারের বাইরে যদি পাওনা থাকে, তাহলে ট্রেক বিক্রি করে তা মেটানো হবে। এ সময় হাউজটিতে বিনিয়োগকারীদের নিট পাওনার পরিমাণ জানতে ওই হাউজের বিনিয়োগকারীদের সবাইকে তাদের তথ্য ডিএসইকে জানানোর জন্য অনুরোধ করেন তিনি। এক্ষেত্রে তারা যত দ্রুত জানাবে, তত দ্রুত হাউজটিতে বিনিয়োগকারীদের দায়-দেনা জানা যাবে। তারা ডিএসইকে মেইলে বা সরাসরি উপস্থিত হয়ে তাদের পাওনা সম্পর্কে জানাতে পারবেন।