যশোরে ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গে দুইজনের মৃত্যু : আক্রান্ত ৪৪ জন

0

বিএম আসাদ ॥ গতকাল যশোরে আরও ৪৪ জন আক্রান্ত হয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে। এছাড়া ২৪ ঘন্টায় উপসর্গ নিয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তদের অধিকাংশই অভয়নগর উপজেলায়। এ উপজেলায় একদিনে ২৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া শার্শা উপজেলায় ৬ জন, যশোর সদর উপজেলায় ৪ জন, ঝিকরগাছা উপজেলায় ৩ জন, কেশবপুর উপজেলায় ১ জন এবং বাঘারপাড়া উপজেলায় ১ জন আক্রন্ত হয়েছেন। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১শ’ ৮২টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। এর ভেতর আক্রান্ত হয়েছে ৪৪ জন। গত ১৩ এপ্রিল প্রথম যশোরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এ সময় থেকে যশোরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫শ’ ১০ জন। আক্রান্তদের ভেতর ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন- শার্শার আবুল খায়ের (৭৫), জাকির হোসেন যশোর সদর উপজেলার চাউলিয়া গ্রামের খালেক গাজী (৪৫), ছাতিয়ানতলা গ্রামের ওহাব আলী (৭০), অভয়নগর উপজেলায় সিদ্দিপাশা ইউনিয়নের ধুল গ্রামের বিমলন্দ চক্রবর্তী (৬৫), গুয়াখোলা এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা শিল্পপতি আমির হোসেন (৬৫), বেল্লাল হোসেন ও আনিছুর রহমান আনিছ (৪৫)।
এদিকে, করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘনটায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। সন্ধ্যায় হাসপাতালের পুরুষ আইসোলেশন ওয়ার্ডে হারান সাহা (৭০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তার বাড়ি শহরের বেজপাড়ায়। মৃতের ছেলে তুহিন সাহা জানিয়েছেন তিনি ডায়াবেটিস, হার্ট ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। গতকাল ভোরে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে থেকে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ডাক্তারগণ স্থানান্তর করেন। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে শামীমুর রহমান নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তার ছিল প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট। সন্ধ্যার পর অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় তাকে নিয়ে স্বজনরা খুলনার গাজী মেডিকেলে রওনা হন। পথের মাঝে রাত পৌনে ১০টার দিকে মারা যান শামিমুর রহমান (৪৫)। মৃত শামীমুর রহমানের বাড়ি পুরাতন কসবা কাজীপাড়ায়। মৃত্যুর পর মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে তার মৃত্যু ঘোষণা করা হয়নি। লাশ রাখা হয় রাতভর অ্যাম্বুলেন্সে। গতকাল মৃতের শরীর থেকে নমুনা নেয়ার পর স্বজনরা সৎকারের উদ্দেশ্যে লাশ নিজ বাসায় নিয়ে যান। এর আগে হাসপাতালের মহিলা আইসোলেশন ওয়ার্ডে রওশানারা (৭০) নামে এক বৃদ্ধা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।