করোনা ভ্যাকসিনের প্যাটেন্টে কারও একক অধিকার থাকবে না : প্রফেসর ইউনূস

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ‘সামার অব পারপাস’ শিরোনামে জার্মানির মিউনিখে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘সামাজিক ব্যবসা দিবস’। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শান্তিতে নোবেলজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস করোনা ভ্যাকসিনকে বৈশ্বিকভাবে জনগণের সম্পত্তিতে পরিণত করার মাধ্যমে একটি ঐক্যবদ্ধ পৃথিবী গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়ে বলেছেন, এই ভ্যাকসিনের প্যাটেন্টের ওপর কারও একক অধিকার থাকবে না। করোনা ভ্যাকসিনের উৎপাদন স্থানীয় পর্যায়ে করারও আহ্বান জানান তিনি। ঢাকার ইউনূস সেন্টার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, প্রতি বছরের মতো এ বছরও বৈশ্বিকভাবে পালিত হচ্ছে দিবসটি। তবে ‘কভিড-১৯’ এর কারণে আয়োজনের বড় অংশটাই হচ্ছে ভার্চুয়াল স্পেসে। মিউনিখের অনুষ্ঠানের ইভেন্টগুলোর ভিডিও ক্লিপ উপস্থাপন করা হবে এবং স্যাটেলাইটে বিশ্বব্যাপী সম্প্রচারিত হবে। সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করছে ইউনূস সেন্টার ও গ্রামীণ ক্রিয়েটিভ ল্যাব।
এ বছরের সামাজিক ব্যবসা দিবসে করোনা দুর্যোগ-পূর্ববর্তী পৃথিবীতে যে বৈষম্যমূলক অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি ছিল, সেই পৃথিবীতে ফিরে যাওয়ার বিপদ সম্পর্কে বিশেষভাবে আলোকপাত করা হচ্ছে। উদ্বোধনী দিনে প্রফেসর ইউনূস এক বক্তৃতায় ‘কিছুতেই আবার ফিরে না যাওয়া’র একটি দৃঢ় নীতি ঘোষণা করেছেন। করোনা সংকটকে একটি নতুন বিশ্ব গড়ে তোলার একটি অভাবনীয় সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। সম্মেলনে জার্মান রাজনৈতিক নেতা জার্মান ফেডারেল পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট ওলফগাং শয়েবলে, বাভেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মার্কাস সোয়েডার, বাভেরিয়ার ডিজিটাল অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুডিথ গেরলখ এবং মাই-কালেকটিভের প্রতিষ্ঠাতা ড. অ্যাঙ্গেলমেইয়ের বিশেষ বার্তা দেন। তিন দিন ধরে বক্তারা করোনা-পরবর্তী পৃথিবীতে বৈশ্বিক সামাজিক সমস্যাগুলো কীভাবে উদ্ভাবনমূলক উপায়ে সমাধান করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করবেন। আলোচনায় মানবাধিকার, গ্রহ হিসেবে পৃথিবীর নিজস্ব অধিকার, মূল্যবোধ-চালিত ব্যক্তিগত লক্ষ্য বিষয়ক সংলাপ, খেলাধুলাকে মহামারী চলাকালেও কীভাবে পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যায়, করোনা ভ্যাকসিনকে কীভাবে একটি বৈশ্বিক সর্বসাধারণের সম্পত্তিতে পরিণত করা যায় ইত্যাদি বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ‘রি-ইমাজিনিং এ বেটার ইউরোপ ইন ২০২৫’ বিষয়ক দুটি বিশেষ সেশনও পরিচালিত হবে।