চৌগাছায় ৩৪৬ নমুনায় ২৬ করোনা রোগী শনাক্ত সুস্থ্য ১৫ জন

0

এম এ রহিম, চৌগাছা (যশোর)॥ যশোরের চৌগাছায় বৃহস্পতিবার ৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আবুল কাশেম (৪৮) ও ঝর্ণা বেগম (৪০) নামে ২ জনের শরীরে করোনা পাওয়া গেছে। আক্রান্ত কাশেম হলেন চৌগাছা উপজেলা মডেল হাসপাতালের অফিস সহকারী। ও ঝর্ণা পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুরানত হাসপাতাল (বস্তি) পাড়ার বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার লাকি। এ উপজেলায় ৩৪৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীার পর ২৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ১৫ জন সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২৫ জুন পর্যন্ত উপজেলায় মোট ৩শ ৪৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে যশোর সির্ভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে খুমেক ল্যাব ও যবিপ্রবি জেনোম সেন্টারে ৩শ ৪৬টি নমুনা পরীায় ২৬ জনের নমুনা পজেটিভ হয়। আক্রান্ত ২৬ জনের মধ্যে ১৫ জন সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। বাকি ১১ জনের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নাহিদ সিরাজ ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পৌর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী উমারানীকে যশোর করোনা ইউনিট বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য ৮ জন নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলায় ৪ এপ্রিল শহরের দুই নম্বর ওয়ার্ডের এক গৃহিণী প্রথম করোনা শনাক্ত হন। পরে ৫ মে পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চারজন চিকিৎসক ও তিনজন সেবিকাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট ১৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হন। প্রায় এক মাস পর ১২ জুন যশোর জেনারেল হাসপাতালের স্টাফ ও শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ঋষিপাড়ার এক বাসিন্দা করোনা পজেটিভ হন। এর পর ওই ব্যক্তির স্ত্রী-কন্যাসহ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নতুন আরো ১০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এরা হলেন উপজেলার স্বরপদাহ ইউনিয়নের ছোট কাকুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক স্বাস্থ্যকর্মীর বাবা-মা, শহরের আট নম্বর ওয়ার্ডের কুটিপাড়া গ্রামের এক রডমিস্ত্রি এবং শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কালিতলা এলাকার এক রং মিস্ত্রী ও তার স্ত্রী। এছাড়া ফরিদপুর জেলায় কর্মরত এক এনজিও কর্মী ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা করে করোনা পজেটিভ হন। তিনি উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়ের মাধবপুর গ্রামে এসে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। বৃহস্পতিবার ৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আবুল কাশেম (৪৮) ও ঝর্ণা বেগম (৪০) নামে ২ জনের শরীরে করোনা পাওয়া গেছে। আক্রান্ত আবুল কাশেম হলেন চৌগাছা উপজেলা মডেল হাসপাতালের অফিস সহকারী ও ঝর্ণা বেগম পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুরানত হাসপাতাল (বস্তি) পাড়ার বাসিন্দা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার লকি এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ১৬ জুন পৌরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ঋষিপাড়াকে রেড জোন চিহ্নিত করেন উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও স্বাস্থ্য বিভাগের প থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত রোগীদের বাড়ি লকডাউন করে নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশন নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে ২৪ জুন পাঠানো ১৭টি নমুনার ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি।