কুষ্টিয়ায় করোনা একজনের, বাড়ি লকডাউন করা হলো অন্যজনের

0

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা॥ কুষ্টিয়া পূর্ব মজমপুরের বাসিন্দা গোলাম রসুল। ষাটোর্দ্ধ এই ব্যক্তি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্যাথলজি বিভাগে অফিস সহকারী হিসেবে চাকরি করতেন। ২০১৭ সালে অবসর নিয়েছেন। বুধবার (২৫ জুন) রাতে মজমপুরে গোলাম রসুল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে তার বাড়িটি লকডাউন করতে যায় প্রশাসন। এদিকে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ নেই গোলাম রসুলের। তিনি আক্রান্ত কি না তা পরীক্ষার জন্য নমুনাও দেননি কোথাও। তবে কীভাবে তার করোনা টেস্ট রেজাল্ট পজিটিভ এলো তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন তিনি।
জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ২৪ জুনে দেওয়া ২৭টি করোনা পজিটিভ স্যাম্পলের মধ্যে গোলাম রসুলের নমুনা রয়েছে। গোলাম রসুল বলেন, ‘‘আমার শরীরে ঠান্ডা, জ্বর কিংবা করোনার উপসর্গ কিছুই নেই। মাঝে মধ্যে বাজারে যাই। এজন্য করোনা হতে পারে শঙ্কায় ফ্লু কর্নারে গিয়েছিলাম। তবে আমি নমুনা দেইনি। নাম রেজিষ্ট্রেশন করেছিলাম। হঠাৎ বুধবার (২৪ জুন) রাতে পুলিশ এসে বলে- আমি করোনা পজিটিভ রোগী। বাড়ি লকডাউন করা হবে।’’
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নুরুন্নাহার বেগম বলেন, ‘হয়তো গোলাম রসুলের নাম লিখিয়ে চেয়ারে অন্যকেউ করোনা টেস্টের জন্য নমুনা দিয়েছেন। তবে যিনি নমুনা দিয়েছেন তার করোনা পজিটিভ। কে গোলাম রসুলের পরিবর্তে নমুনা দিয়ে গেছে আমরা তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’ কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচএম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, গোলাম রসুল নামের ঐ ব্যক্তি করোনা টেস্ট করানোর জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। তিনি টেস্ট দেওয়ার লাইনেও দাঁড়িয়েছিলেন। তবে হঠাৎ তিনি চলে যান। এই সময়ে অন্যকেউ হয়তো স্যাম্পল দিয়েছে। এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্খিত। আমাদের আরো সতর্ক হওয়া উচিৎ ছিলো। আমরা গোলাম রসুলের নমুনা নেওয়ার ব্যবস্থা করছি।’