খুলনায় করোনার উপসর্গ নিয়ে শিক্ষকসহ ৩ জনের মৃত্যু

0

খুলনা সংবাদদাতা॥ খুলনায় করোনার উপসর্গ নিয়ে একজন শিক্ষকসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৪ জুন) রাতে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের করোনা সাসপেকটেড আইসোলেশন ওয়ার্ডের ফ্লু কর্ণারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা। করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তিরা হলেন- খুলনা সরকারি জিলা স্কুলের একজন শিক্ষক (৪০), নগরীর বাগমারা এলাকার এক বাসিন্দা (৫৫) ও হরিণটানার রায়েরমহল এলাকার আরেক বাসিন্দা(৪৫)।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ও করোনা ওয়ার্ডের মুখপাত্র ডা. মিজানুর রহমান জানান, খুলনা সরকারি জিলা স্কুলের এই শিক্ষক জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বুধবার রাত ১২টার পর খুমেক হাসপাতালের ফ্লু কর্ণোরে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টা ৫ মিনিটে মারা যান তিনি। বাগমারা বাসিন্দাটিও জ্বর কাশির সমস্যা নিয়ে বুধবার বিকেলে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। রাত ১টা ২০ মিনিটে তিনি মারা যান। এছাড়া হরিণটানার বাসিন্দাটি জ্বর শ্বাসকষ্ট নিয়ে মঙ্গলবার (২৩ জুন) বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফ্লু কর্ণারে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোররাতে তিনি মারা যান। মৃত ৩ জনেরই করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানান ডা. মিজানুর রহমান।
এদিকে, মৃত্যুবরণকারী তিনজনের নমুনা সংগ্রহে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। এমনকি রাতে সাসপেকটেড আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে তাদের মৃতদেহও সরানো হয়নি, বেডেই পড়ে ছিল। মৃতদের স্বজনরা অভিযোগ করেন, রাতেই তাদের নমুনা নেয়ার জন্য বলা হলে কর্তব্যরত মেডিক্যাল অফিসার ডা, অসীম জানান ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত তাদের নমুনা নেয়া হয়নি। বিষয়টি হাসপাতালের পরিচালককে জানালে তিনি বলেন, ‘এখন নমুনা নিয়ে লাভ নেই’। বিষয়টি স্বীকার করে খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সি মো. রেজা সেকেন্দার বলেন, তিনি রাতে ডিউটি ডাক্তারকে নমুনা নিতে বলেছিলেন। কিন্তু তারপরও ডাক্তার নমুনা নেয়নি। এ কারণে তাকে শোকজ করা হচ্ছে।