তিন মাস রফতানি বাণিজ্য বন্ধ : বেনাপোলে দু’হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য ঘাটতি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত তিন মাস ধরে দেশের বৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সঙ্গে রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। করোনা সংক্রমণ প্রভাবের পর এই অবস্থা চলছে। ফলে রফতানি বাণিজ্যে কমপক্ষে দুই হাজার কোটি টাকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। স্থানীয়ভাবে দফায় দফায় বৈঠক করা হলেও এখনো সচল হয়নি বাণিজ্য।
জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় দেশের স্থলপথে রফতানি বাণিজ্যের ৭০ শতাংশই হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিবছর প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার পণ্য ভারতে রফতানি হয়। কিন্তু করোনা সংক্রমণরোধে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় ২২ মার্চ থেকে স্থলপথে আমদানি, রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। পরে গত ৭ জুন এ পথে ভারতীয় পণ্যের আমদানি বাণিজ্য শুরু হলেও নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ভারতীয়রা বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রেখেছে। ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, এ বছর ১০ হাজার কোটি টাকার রফতানি বাণিজ্য হওয়ার কথা। কিন্তু করোনায় তা থমকে দাঁড়িয়েছে। বাণিজ্য সচলের জন্য ভারতীয় কর্তৃপরে সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। করোনার মধ্যে বাণিজ্য সচল করা নিয়ে তারা একটি এসওপি পাঠিয়েছে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, প্রায় তিন মাস ধরে এ পথে রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। এতে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার মতো বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে। এছাড়া শিল্প কারখানার পণ্য এখানে আটকা পড়ে আছে। বিষয়টি এখন সরকার পর্যায়ে আলোচনা করলে রফতানি বাণিজ্য চালু হবে। বেনাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুজিবর রহমান জানান, স্থানীয়ভাবে রফতানি বাণিজ্য সচলে কয়েকদফা বৈঠক হলেও কাজ হচ্ছে না। তারা বিভিন্ন সময় আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছে। তবে কবে, কখন রফতানি শুরু হবে তার কোনো ঠিক নেই। বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার জানান, যে প্রক্রিয়ায় আমদানি শুরু হয়েছে সে প্রক্রিয়ায় যেন রফতানি শুরু হয় সে বিষয়ে ভারতকে আমরা বলেছি। আমাদের দেশের উচ্চপর্যায়ে যারা দায়িত্বে আছেন তাদের সঙ্গেও কথা হচ্ছে। আশা করা যায় শিগগিরই এ পথে রফতানি প্রক্রিয়া শুরু হবে। স্বাভাবিক সময়ে বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২শ ট্রাক পণ্য ভারতে রফতানি হয়। রফতানি পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্য, তৈরি পোশাক, কেমিক্যাল, টিস্যু, চালের কুঁড়া, মেহগনির ফল, মাছ ও অক্সিজেনসহ প্রায় ৫০ প্রকারের পণ্য রয়েছে।