যশোর শহরে ইজিবাইকে মানা হচ্ছে না শারীরিক দূরত্ব

0

মাসুদ রানা বাবু ॥ মহামারী করোনাকালে দ্বিগুণ ভাড়া নিয়েও শারীরিক দূরত্ব না মেনেই যশোর শহরের ইজিবাইক চলাচল করছে। মহামারীর বিস্তার ঠেকানোর লক্ষ্যে ইজিবাইকে অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার কথা থাকলেও প্রায় অধিকাংশ চালকরা আগের মতোই যাত্রী বহন করছেন। ট্রাফিক পুলিশ ও পৌরসভার দায়িত্বশীলরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। ইতিমধ্যে যশোরেও আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে তিন শতাধিক। ক্রমেই অনেক ভয়ানক পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যশোর শহরসহ গোটা জেলা। ইতিমধ্যে যশোর শহর ও শহরতলীর এবং জেলার সকল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা রেড জোন ও ইয়োলো জোন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শহরের কয়েক হাজার ইজিবাইক চালকের রুটি-রুজির কথা চিন্তা করে শারীরিক দূরত্ব মেনে বাইক চালানোর অনুমতি দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু চালক ও যাত্রীরা শারীরিক দূরত্বের বিষয়টি মোটেও তোয়াক্কা করছেন না। যেখানে তাদেরকে কঠোর হুঁশিয়ারি করে বলা হয় একেকটি বাইকে ৩ জনের অধিক কোন যাত্রী বহন করতে পারবে না। তিন জনের অধিক যাত্রী বহন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলা হয়। যেটি চালকরাও অকপটে স্বীকার করেন। তা সত্ত্বেও তারা তিনজনের স্থলে সচরাচর চার থেকে পাঁচ জন পর্যন্ত বহন করছেন।
এদিকে, করোনার অজুহাতে চালকরা শারীরিক দূরত্বের বিষয়টি না মানলেও যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছেন ঠিকই। যেখানে আগে ভাড়া ছিল ১০ টাকা। বর্তমানে একই ভাড়া নিচ্ছেন বিশ টাকা। ভাড়া বেশি নিয়েও শারীরিক দূরত্বের বিষয়টি না মেনেই তারা বাইক চালাচ্ছেন। শহরের চিত্রা মোড়, সিভিল কোর্ট মোড়, শহর বা শহরতলীর মধ্যে, পালবাড়ী, ধর্মতলা, আরবপুর মোড়, নিউমার্কেট বাবলাতলা, খাজুরা বাসস্ট্যান্ড, মনিহার পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, মুড়লি মোড়, চাঁচড়া চেকপোস্ট, পুলেরহাটসহ বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে শহরে ইজিবাইক আসা-যাওয়া করে। যে কারণে প্রতিনিয়ত শহরের সকল রাস্তায় ইজিবাইকের অন্যতম ধকল থাকে। গত কয়েকদিন ধরে ইজিবাইকের ওই সকল পয়েন্টসহ শহরের বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে করোনাকালে তাদের এই নির্ধারিত যাত্রী বহনের স্থলে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের দৃশ্য উঠে আসে। প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় কয়েকজন ইজিবাইক চালকের সাথে। প্রথমেই তারা অকপটে বলেন, তিনজনের বেশি যাত্রী বহন করে ধরা পড়লে অর্থদন্ড বা এর চেয়ে বড় শাস্তি ভোগ করতে হবে। তারপরও অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছেন কেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, ভাড়া দ্বিগুণ করলেও আগের মত আয় রোজগার হচ্ছে না। এ জন্য সুযোগ বুঝে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছি।