স্টাফ রিপোর্টার, কেশবপুর (যশোর) ॥ কেশবপুরে ভান্ডরখোলা বাজারে অসহায় তিনটি পরিবারের দোকানঘর রক্ষার দাবিতে রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। কেশবপুর উপজেলার ভান্ডরখোলা বাজারে অনুষ্ঠিত বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক হাফিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, খোপদহি গ্রামের মৃত তেছের আলী মোড়লের পুত্র হতদরিদ্র আব্দুল আজিজ, মৃত হামিদ আলী মোড়লের পুত্র নুর মোহাম্মদ ও নুর মোহাম্মদ মোড়লের পূত্র আমিনুর রহমান ভান্ডারখোলা বাজারে কাছারী পুকুর ধারে হাল ২০৭২, ২০৭৫ ও ২০৭৬ দাগের জমির ওপর ২০০৮ সালে দোকানঘর করে আখের রস, ডাব, কলা ও ভাজা চপ বিক্রি করে কোনরকমে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। দখল অনুযায়ী এই তিনজনসহ ১১ জনকে ৮/১২ ফুট করে ভিপি জমির অন্তর্ভুক্ত করে বাংলা ১৩৯৪ সাল হতে ১৪২৬ সাল পর্যন্ত ডিসিআর প্রদান করা হয়। সেই অনুযায়ী তারা এখানে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। কিন্তু ওই এলাকার প্রভাবশালী ফতেপুর গ্রামের শামছুর শেখের পুত্র মনিরুল ইসলাম গত রমজান মাসে উল্লেখিত তিনজনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে একটি ঘর নির্মাণ করেন। এসময় হতদরিদ্র আব্দুল আজিজ, নুর মোহাম্মদ ও আমিনুর রহমান এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মনিরুল ইসলামের ঘর উচ্ছেদ করে পুনরায় তাদের দোকানঘর করেন। এ ব্যাপারে বাজার কমিটির কাছে মনিরুলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে বাজার কমিটি একটি সভার আয়োজন করলে মনিরুল ইসলাম তার স্বপক্ষে কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারায় কমিটি ওই তিনজনকে তাদের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করে। কিন্তু গত ১৬ জুন ভোরে পুনরায় তাদের তিনটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। ওইদিন আমিনুর রহমান প্রতিপক্ষ মনিরুল ইসলাম গংয়ের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় তারা পুনরায় দোকানঘর নির্মাণ করেছেন। এদিকে হতদরিদ্র তিনজনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে ঘর নির্মাণের পাঁয়তারা চলছে। তারা বেশ চিন্তায় পড়েছেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা দোকানঘর রক্ষার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন।