হরিণাকুণ্ডুতে আনু হত্যা রহস্য উদঘাটন : সিআইডি’র অভিযানে গ্রেফতার কিলিং মিশনের ৩ সদস্য

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ ॥ পুলিশ ও পিবিআই দুই দফা তদন্ত করে ব্যর্থ হওয়ার চার বছর পর ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ঘোড়াগাছা গ্রামের মাঠে আনোয়ার হোসেন আনু হত্যার রহস্য উদ্ধার করেছে সিআইডি পুলিশ। সেই সাথে গ্রেফতার করা হয়েছে কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া ৩ হত্যাকারীকে। নিহত আনোয়ার হোসেন আনু হরিণাকুন্ডুর কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের ভালকি গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে। গ্রেফতারকৃতদের একজন হচ্ছে কিসমত ঘোড়াগাছা গ্রামের মৃত নফর আলী মন্ডলের ছেলে সাহেব আলী। তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে কুষ্টিয়ার ইবি থানার অধীন উদয়পুর গ্রামে বসবাস করতেন। সাহেব আলীকে ঝাউদিয়া বাজার থেকে গ্রেফতারের পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সিআইডি পুলিশ গত বৃহস্পতিবার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কিছমত ঘোড়াগাছা গ্রামে অভিযান চালিয়ে একই গ্রামের আবুল মিয়ার ছেলে শাহিন কবির ঝলক (৩৮) ও ইসলাম বিশ্বাসের ছেলে রাশিদুল ইসলাম কুটি (৪৩) কে গ্রেফতার করে।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩ ফেব্র“য়ারি মধ্যরাতে আনোয়ার হোসেন আনুকে গলাকেটে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পরদিন তার স্ত্রী মোছা. বিউটি খাতুন বাদী হয়ে হরিণাকুণ্ডু থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে লিখিত মামলা করেন। মামলাটি তদন্তকালে পুলিশ কোন আসামি আটক বা মোটিভ উদ্ধার করতে পারেনি। ফলে ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট হরিণাকুণ্ডু থানার এস আই আসাদুজ্জামান আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট (ঋজঞ) দাখিল করেন। বাদি চূড়ান্ত রিপোর্টের বিরুদ্ধে নারাজি দিলে আদালত ঝিনাইদহ পিবিআইকে মামলাটি পুনঃতদন্ত করতে নির্দেশ দেন। পিবিআই’র এসআই ইসমাইল হোসেন এ মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল হরিণাকুণ্ডু থানার সম্পূরক চূড়ান্ত রিপোর্ট (ঋজঞ) দাখিল করেন। বাদির পুরনায় নারাজির প্রেেিত ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য আদালত ঝিনাইদহ সিআইডি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। সিআইডি’র এসআই মাসুদ রানা একই বছরের ১৯ ডিসেম্বর থেকে তদন্ত শুরু করেন। তিনি গোপনে ও প্রকাশ্যে মামলার তদন্ত করতে গিয়ে মামলার রহস্য ও হত্যার সাথে জড়িত ৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছেন। কুলেস হত্যা মামলাটির তৃতীয় দফা দায়িত্বভার গ্রহণকারী তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাসুদ রানা জানান, মামলাটি তদন্ত শেষে হত্যা রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। এরপর সন্দিগ্ধ আসামিদের ধরার জন্য সোর্স নিয়োগ করা হয়। এই মামলায় আরো অনেকেই সম্পৃক্ত আছে। তাদের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।