কালীগঞ্জে গরু মোটাতাজাকরণের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন খামারিরা

0

শিপলু জামান,কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) ॥ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে চলছে গরু মোটাতাজাকরণের কাজ। দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন খামারিরা। একদিকে মহামারী করোনাভাইরাস অন্যদিকে গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় ঈদে গরুর দাম ঠিকমত পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে খামারিদের মাঝে বিরাজ করছে হতাশা। বাজারে ভারতীয় গরুর আমদানি হবে এমন দুশ্চিন্তাও করছেন তারা।
সামনে কুরবানির ঈদের বাজার ধরতে খামারিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন গরু মোটাতাজাকরণের কাজে। গমের ভূষি, খৈল, খড়, কাঁচা ঘাঁসসহ অন্যান্য খাবার খাওয়ানো হচ্ছে গরুকে। কেউ খড় কাটছেন কেউবা গরুর শরীর পরিষ্কার করছেন। এভাবেই দেশীয় পদ্ধতিতে চলছে ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের খামারিদের গরু মোটাতাজাকরণের কাজ। সকলেরই লক্ষ্য কুরবানির ঈদে ভাল দামে গরু বিক্রি করে মিলবে বেশি টাকা। কিন্তু করোনার কারণে গরুর খাবারের দাম বেশি হওয়ায় খরচও হচ্ছে বেশি। আর ঈদ ঘনিয়ে আসলেও খুব একটা দেখা মিলছে না ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বাইরের গরু ব্যাপারিদের। করোনা পরিস্থিতির কারণে নতুনবাজার, বারবাজার, গাজীর বাজার, গান্নাবাজার বন্ধ থাকায় নেই তেমন গরুর দাম। অন্যদিকে শেষ মুহূর্তে বাজারে আসবে ভারতীয় গরু এমন শঙ্কায় রয়েছেন খামারিরা। ব্যাপারি নাজমুল হোসেন জানান, কালীগঞ্জ থেকে মানুষের চাহিদা মিটিয়ে খামারিরা ঢাকা ও চট্টগ্রামে গরু রফতানি করে থাকেন। কিন্তু গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম কম, তবে সীমান্ত দিয়ে গরু আসা বন্ধ হলে তারা লাভ করতে পারবেন বলে জানান। এদিকে খামারি বেলাাল হোসেন জানান, করোনা আতঙ্কে গরু কিনতে বাইরের খরিদ্দার তেমন আসছেন না। যদি ভারতীয় গরু বাজারে আসে তাহলে খুব ক্ষতি হয়ে যাবে। ঠিকমত দাম নিয়ে সংশয়ে আছি। কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা জানান, এবার গো-খাদ্যর দাম বেশি। খামারিদের এখন কিছুটা লোকসান হলেও তারা ভাল দাম পাবেন। দেশীয় গরুই দেশের চাহিদা পূরণ করতে পারবে, তাই প্রতিবেশী দেশ থেকে গরু আমদানির প্রয়োজন নেই। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের পালিত গরুই চাহিদা পূরণ করতে পারবে, ফলে বাইরের গরু আমদানির প্রয়োজন নেই ।