ভাঙা ব্রিজে বাঁশ দিয়ে জোড়াতালি, বিপাকে গ্রামবাসী

0

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা॥ কুষ্টিয়ায় দুইটি ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার কারণে বাঁশ ব্যবহার করে বিকল্প উপায়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা। ফসল ঘরে আনতেও সমস্যা হচ্ছে তাদের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের পশ্চিম কচুয়াদহ এলাকায় একটি ব্রিজের নিচের অংশ ভেঙে পানিতে পড়ে গেছে। সেটার ওপরে স্থানীয়রা বাঁশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ভ্যান, মোটরসাইকেল ও সাইকেল কোনোমতে চলাচল করলেও মাঠের ফসলবাহী কোনো গাড়ি পার হতে পারছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা কামরুল ইসলাম জানান, ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরেই সংস্কারের অভাবে এভাবে রয়েছে। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার কারণে মাঠে যাতায়াত করা যাচ্ছে না। তবে মানুষ চলাচলের জন্য বাঁশ দিয়ে কোনোমতে মেরামত করা হয়েছে। তাও ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে। উপজেলার দক্ষিণ ছাতিয়ান হয়ে সাপকামড়া এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য এলজিইডি এর অর্থায়নে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৪ সালে একটি নতুন রাস্তা নির্মাণ হলেও সংস্কার হয়নি দীর্ঘদিনের পুরাতন একটি ব্রিজেরও। সাপকামড়া এলাকার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন রাস্তা হলেও কোনো যানবাহন চলতে পারছে না। দুই তিন বছর ধরে এই ব্রিজটি ভেঙে গেছে। আমরা বাঁশ দিয়ে কোনোমতে চলাচল করি। সাইকেল নিয়ে যাওয়া যায়, তাও বাঁশ নড়ে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
একই এলাকার ছাতিয়ান-ইসলামপুর রাস্তা। রাস্তাটা বেশিরভাগ সময়ই কৃষি পণ্য আনা নেওয়ার কাজে ব্যবহার হয়। তাছাড়া, দুই গ্রামের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজও করেছে। এই পথে রয়েছে একটি ব্রিজ। যার অর্ধেক অংশ কয়েক বছর আগে ভেঙে পানিতে পড়ে গেছে। বিকল্প হিসেবে স্থানীয়রা বাঁধ দিয়ে চলাচল করতো। কিন্তু বৃষ্টির কারণে বাঁধের ওপর পানি ওঠে গেছে।
স্থানীয় কৃষক আলী হোসেন বলেন, ‘আমাদের দুঃখের কথা কেউ শোনে না। আমরা কত কষ্ট করে এই ব্রিজের অর্ধেক অংশ দিয়ে পার হয়। জীবনের ঝুঁকি থাকে।’ তিনি বলেন, ‘পুরাতন এই ব্রিজটি সংস্কার না হওয়ার কারণে দুই গ্রামের মানুষের চলাচল করতে খুবই কষ্ট হয়। বিশেষ করে মাঠের ফসল ঘরে আনতে বেশি শ্রম ও টাকা প্রয়োজন হয়।’
এদিকে কাকিলাদহ-শ্রীরামপুর মাঠের সেচ খালের ওপর দিয়ে প্রাচীন কালভাটটিও ভেঙে পড়ে রয়েছে পানিতে। কালভাটটির ওপর দিয়ে পানি চলাচল করছে। এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে ছাতিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বিশ্বাস জানান, দক্ষিণ ছাতিয়ান হয়ে সাপকামড়ার ব্রিজটি আধুনিক ব্রিজ হিসাবে নির্মাণ করা হবে। দুই সপ্তাহ আগে এর মাটি পরীক্ষার জন্য নমুনা নিয়ে গেছে। আর ছাতিয়ান-ইসলামপুর রাস্তার ভাঙা ব্রিজের কাজ টেন্ডার হয়েছে। করোনার কারণে কাজ শুরু হতে দেরি হচ্ছে। মিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, ছাতিয়ান ইউপির বেশ কয়েকটি ব্রিজ ও কালভার্ট ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। ইতিমধ্যে টেন্ডার হয়েছে।