‘এত নিগৃহীত হওয়ার পরেও বেল রিয়ালে কেন’

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ২০১৩ সালে রেকর্ড ১০০ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফিতে টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন ওয়েলস স্ট্রাইকার গ্যারেথ বেল। শুরুর কয়েক বছর ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গী হয়ে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নিয়ে এসেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগসহ আরও অনেক শিরোপা। তবে এরপরই ধারাবাহিকতা হারিয়ে ফেলেন এই ওয়েলস স্ট্রাইকার। বল পায়ে জাতীয় দলে ভালো খেললেও, রিয়ালে আসলেই যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজতেন বেল। একসময় দলে অনিয়মিত হয়ে যান। তাকে নিয়ে মাদ্রিদে গলফ খেলার মতো মুখরোচক গল্পও ছড়াতে থাকে। এমনকি পরোক্ষ প্রতিবাদ করে সমর্থকদের চোখের বিষ হয়ে পড়েন। ঘরের মাঠে সমর্থকদের দুয়ো হয়ে ওঠে বেলের সঙ্গী। এমন বিরূপ পরিস্থিতিতেও মাদ্রিদের দলটিতে বেলের থাকার কারণ খুঁজে পান না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক তারকা স্ট্রাইকার দিমিতার বার্বাতোভ।
মূলত ইনজুরি গ্যারেথ বেলের সেরাটা কেড়ে নেয়। এরপর দলে সুযোগ পেলেও ছন্দহীন খেলা, সমর্থকদের দুয়ো বেলকে রিয়ালের জার্সিতে করে তোলে আরও অনিয়মিত। বারবাতোভ মনে করেন, দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেললে নিজেকে ফিরে পেতে পারেন বেল। বেটফেয়ারে নিজের লেখা কলামে বেলকে নিয়ে বুলগেরিয়ার সাবেক এই তারকা ফুটবলার লিখেন, ‘রিয়ালে গ্যারেথ বেল খুব বেশি খেলার সুযোগ পাচ্ছে না। দর্শকশূন্য মাঠে খেলা বেল ও তাঁর আত্মবিশ্বাসের জন্য সহায়ক হতে পারে। তবে আমার মনে হয়, টিভিতে দেখার সময়ও সমর্থকরা তাকে দুয়ো দেবে। আমি কিছুতেই বুঝতে পারি না, রিয়াল মাদ্রিদের কিছু সমর্থক কেন তাদের নিজেদের খেলোয়াড়দেরই দুয়ো দেয়।’
বারবাতোভের মতে, বেল নিজের সেরাটা খেললেও দুয়ো তাকে শুনতেই হবে। তবে এতসব নেতিবাচক কারণ থাকার পরও তাঁর রিয়ালে থাকতে চাওয়া অবাক করে এই বুলগেরিয়ানকে। বারবাতোভ মনে করেন এর পেছনে নিশ্চয় বিশেষ কোনো কারণ আছে। তাঁর ভাষ্যে, ‘আমি অবাক হয়ে ভাবি, এখানে সে এত বেশি নিগৃহীত হওয়ার পরেও কেন আছে?’ ‘তাঁর পক্ষে পজেটিভ কিছু নিশ্চয় আছে এবং সে তা পছন্দ করে। কিন্তু সে যে কাজই করুক না কেন, সবসময় নেতিবাচক কিছু চলে আসে। আর এটাই আমি বুঝতে পারি না।’ করোনা সঙ্কট কাটিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচে মাঠে নেমেছে। আর দুটিতেই জয় পেয়েছে দলটি। এদিকে এইবারের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামলেও বেল ছিলেন তাঁর ছায়া হয়ে। আর ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠেই নামায়নি তাকে জিদান।