চিনির এমএসপি বাড়ানোর পথে ভারত

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ কৃষকদের বকেয়া পরিশোধে সাহায্যার্থে চিনির মিনিমাম সেলিং প্রাইস বা এমএসপি বাড়ানোর বিষয়ে একটি প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়েছে ভারত সরকার। দেশটির খাদ্য সচিব শুধাংশু পান্ডে সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছেন। বর্তমানে দেশটিতে প্রতি কেজি চিনির এমএসপি ৩১ রুপি ধার্য রয়েছে। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
ভারতে চিনিকলগুলো চাষীদের কাছ থেকে বাকিতে আখ কেনে। এরপর আখ থেকে চিনি তৈরি করে এবং বাজারে বিক্রি করে কৃষকদের পাওনা অর্থ পরিশোধ করে। বর্তমানে দেশটির মিলারদের কাছে কৃষকদের পাওনা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি রুপি। এদিকে পণ্যটির দাম কমতির দিকে থাকায় ও মিলারদের লোকসান বাড়ায় যথাসময়ে কৃষকদের পাওনা পরিশোধ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে পণ্যটির এমএসপি বাড়লে মিলারদের পক্ষে কৃষকদের পাওনা পরিশোধ তুলনামূলক সহজ হয়ে আসতে পারে।
শুধাংশু পান্ডে বলেন, চিনির এমপিএস বাড়ানোর বিষয়ে আমরা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে মতামত পেয়েছি। এমনকি ভারত সরকারের নীতি প্রয়োগ কমিশন মূল্য বৃদ্ধির ব্যাপারে সুপারিশ করেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। কৃষক এবং ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ রক্ষায় একটি ভারসাম্য পন্থা গ্রহণের চেষ্টা করব আমরা। আশা করছি, সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপগুলো শিগগিরই কৃষকদের বকেয়া পরিশোধে সহায়ক হবে। তবে প্রতি কেজি চিনিতে কত রুপি এমএসপি বাড়ানো হবে সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি। অবশ্য আখ ও চিনি শিল্পের জন্য গঠিত এক টাস্কফোর্সে কেজিতে এককালীন ২ রুপি বাড়ানোর সুপারিশ করেছে স্থানীয় নীতি প্রয়োগ কমিশন।
দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০১৯-২০ মৌসুমে (অক্টোবর-সেপ্টেম্বর) ভারতের মিলাররা কৃষকদের কাছ থেকে মোট ৭২ হাজার কোটি রুপি সমমূল্যের আখ কিনেছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ (৫০ হাজার কোটি রুপি) শোধ করা হয়েছে। তবে এখনো ২২ হাজার কোটি রুপি বকেয়া রয়েছে।
এদিকে, চলতি মৌসুমে ভারতে চিনি উৎপাদন কমতির দিকে রয়েছে। মৌসুমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট ২ কোটি ৭০ লাখ টন চিনি উৎপাদিত হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৩১ লাখ টন। এক বছরের ব্যবধানে দেশটিতে পণ্যটির উৎপাদন কমেছে ৬১ লাখ টন।