মহেশপুরের কাজীরবেড় থেকে মমিনতলা ১২ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল অবস্থা

0

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা ॥ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কাজীরবেড় থেকে মমিনতলার ১২ কিলোমিটার রাস্তার এখন বেহাল অবস্থা। এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে এলাকাবাসীকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ১০/১২ বছর ধরে রাস্তা মেরামতে কোন কাজ না হওয়ায় এ বছর বর্ষায় রাস্তায় পানি বেধে একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি সংস্কারে বিভিন্ন সময় আবেদন, অভিযোগ জানিয়েও কোন ফল হয়নি।
উপজেলার সামন্তা গ্রামের মুজিবর রহমান জানান, সাবেক সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজের আমলে মহেশপুর হতে দত্তনগর হয়ে জিন্নাহনগর ও কাজীরবেড় হয়ে মহেশপুর মহিলা কলেজ পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারে প্রায় ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। যার মধ্যে খালিশপুর হতে দত্তনগর ও যাদবপুর হতে রুলি মোড় পর্যন্ত আংশিক কাজ সমাপ্ত হয়। অন্যদিকে রুলি মোড় হতে সামন্তা পর্যন্ত রাস্তাটি এতোই খারাপ হয়ে গেছে যে একটু বৃষ্টি হলেই আর চলাচল করা যায় না। কাজীরবেড় গ্রামের আয়ুব আলী জানান, রাস্তাটির অবস্থা এতই খারাপ যে, এলাকার কোন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়ার মত অবস্থা থাকে না। ফলে এলাকাবাসী চিকিৎসা সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। বাঁশবাড়িয়া মোড়ে পথচারী বাবুল হোসেন জানান, সরকার আসে সরকার যায়, কিন্তু এই সরকার এক নাগাড়ে থাকলেও জনগণের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। যার প্রমান এই রাস্তাটি। আলহাজ মফেজউদ্দিন একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘আমি প্রতিদিন ১২ কিলোমিটার রাস্তা মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে আসি। কিন্তু একটু বৃষ্টি হলেই আর এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারি না’। বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল জানান, রাস্তাটির খুবই খারাপ অবস্থা। এলাকার বেশিরভাগ মানুষ এই রাস্তা ব্যবহার করে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজকর্ম করতে জেলা শহরে যায়। তাই এই রাস্তাটি অতি দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন। কাজীরবেড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা জানান, এই রাস্তাটি হচ্ছে হচ্ছে বলে ৩-৪ বছর চলে গেল, কিন্তু আসলে কি হচ্ছে আমরা জানি না। সাবেক এমপি নবী নেওয়াজের আমলে রাস্তাটি উদ্বোধন হয়ে পুরো ৪৮ কিলোমিটারের বিভিন্ন জায়গায় ব্রিজ-কালভার্ট তৈরি হলেও আমার ইউনিয়নের এই গুরুত্বপূর্ণ অংশটুকু একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমরা জরুরি কাজে মহেশপুর অথবা পাশের উপজেলা জীবননগরে যেতে চরম দুর্ভোগের সম্মুখিন হচ্ছি।