ডা. রাকিব খান নিহত ও চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে উদ্বেগ খুলনা বিএনপির

0

বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা জেলা শাখার আজীবন সম্মানিত সদস্য, নগরীর গল্লামারীস্থ রাইসা ক্লিনিকের মালিক ও বাগেরহাট ম্যাটস্’র অধ্যক্ষ ডা. আব্দুর রাকিব খানকে মৃত রোগীর স্বজনদের প্রহার পরবর্তী নিহতের ঘটনায় গভীর মর্মাহত খুলনা মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। একই সাথে স্বাস্থ্যখাতের শ্রেষ্ঠ সংকটকালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে না গিয়ে স্বাস্থ্য সেবায় ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। গতকাল বুধবার খুলনা মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে খুলনার স্বাস্থ্যখাতের বর্তমান প্রেক্ষাপটে চিকিৎসকদের সাথে সহমর্মিতা, খুলনা তথা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসীর স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হওয়ায় শঙ্কা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ করোনা মহামারিকালে সকলকে ধর্মীয় মূল্যবোধে সর্বোচ্চ মানবিক আচরণের উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। বিএনপি নেতারা বলেন, যদি সত্যিই চিকিৎসকের অবহেলায় বা ত্রুটিতে রোগীর মৃত্যু হয়ে থাকে, তাহলে রোগীর স্বজনরা আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন। কিন্তু আইন-আদালতের সভ্য সংস্কৃতির দিকে না গিয়ে অত্যন্ত নির্দয়ভাবে বেধড়ক মারপিট করে জাতির সেবক একজন চিকিৎসককে মেরে ফেললো এটা অমার্জনীয়, দুঃখজনক। প্রকৃত অর্থে, ন্যায্য বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থায় আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়ে মানুষ এতোটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরকার বিচার বিভাগকে দলীয়করণের কারণেই সাধারণ মানুষের এই প্রহসনের বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা নেই। সে কারণেই জাতির মহান সেবক চিকিৎসকদের ওপরে চড়াও হতে পেরেছে ওরা। রাষ্ট্র চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দিতে বার বার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তের শুরু থেকেই সরকার চিকিৎসকদের কার্যকর প্রতিরোধক দিতে ব্যর্থ হয়েছে। যার ফলে খুলনাতেও অন্তত দুই ডজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা সংক্রমিত হয়েছেন, দেশে ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৩২ জন চিকিৎসক। বৈশ্বিক এ ক্রান্তিকালে দুঃসাহসিক চিকিৎসকদের অসামান্য সেবা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে রচিত হবে। এ অবস্থায় অবিলম্বে স্বাস্থ্য সেবায় ফিরে আসার জন্য চিকিৎসকদের প্রতি মানবিক আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। একই সাথে নিহত চিকিৎসক আব্দুর রাকিব খানের মাগফিরাত কামনা এবং এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামিদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।বিবৃতিদাতারা হলেন-বিএনপির চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম, দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, সৈয়দা নার্গিস আলী, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল¬াহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, অ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এসএম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন। বিজ্ঞপ্তি