চৌগাছায় করোনা শনাক্ত স্বাস্থ্যকর্মী স্বপনের স্ত্রী ও কন্যা আক্রান্ত

0

এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর)॥ যশোরের চৌগাছায় করোনা শনাক্ত হওয়া স্বাস্থ্যকর্মী স্বপন দাসের মেয়ে রিমা রানী (১৩) ও স্ত্রী অঞ্জনা রানী দাস (৩৬) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারা শহরের ৬ নং ওয়ার্ডে বসবাস করেন। বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার লাকি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আক্রান্ত অঞ্জনা রানী দাসকে যশোর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১২ জুন স্বপন দাস করোনা পজেটিভ হয়। পরদিন স্বপনের পরিবারের সকলের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। স্বপন যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের স্টাফ। তার স্ত্রী অঞ্জনা রানী চৌগাছা মডেল হাসপাতালের স্টাফ। বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে অঞ্জনাকে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার লাকি বলেন, স্বপনের সনাক্ত হওয়ার পর তাদের পরিবারকে লকডাউন করা হয়। কিন্তু করোনা উপসর্গ নেই দাবি করে তারা পারিবারিক লকডাউন অমান্য করার কারণেই তার স্ত্রী ও কন্যা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এনিয়ে উপজেলায় নতুন করে মোট ৫ জন করোনা রোগী সনাক্ত হলো। অন্য দুইজন হলেন উপজেলার স্বরুপদহ ইউনিয়নের ছোট কাকুড়িয়া গ্রামের এক স্বাস্থ্য কর্মীর পিতা অহিদুল ইসলাম (৪৪) ও মা জহুরা বেগম (৩৮)।
এদিকে ১৬ জুন পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ঋষিপাড়াকে রেডজোন ঘোষনা করে উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও স্বাস্থ্যবিভাগের প থেকে লকডাউন করে দেওয়া হয়। এ সময় ঋষিপাড়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও গলিপথে বাঁশ বেঁধে বন্ধ করে দেয়া হয়। এলাকার সড়কগুলোতে মঙ্গলবার আনছার সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেলেও বুধবার ও বৃহস্পতিবার সারাদিন তাদের দেখা মেলেনি। ফলে ঋষিপাড়ার সকল পেশার মানুষকে বাড়ি থেকে বের হতে দেখা গেছে। এমনকি অন্য এলাকার মানুষও সেখানে প্রবেশ করছেন। অন্য এলাকা থেকে আসা এক পথচারী ব্যাক্তি বলেন, গত ৩ দিন বাড়িতে ছিলাম না, আজ বাড়ি এসেছি, বাড়ি না গেলে যাব কোথায় ? এদিকে লকডাউন এলাকার মধ্যে যে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোও খোলা রাখা হয়েছে। শহর বাসীর দাবী লকডাউন না মানায় করোনা ছড়িয়ে পড়ার আঙ্কশা রয়েছে। স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আতিয়ার রহমান বলেন, ঋষিপাড়াকে রেডজোন হিসেবে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও তা মানছে না তারা।